বিজ্ঞাপন

বেসরকারি শিক্ষকদের আন্দোলনে বিভক্তি

March 14, 2018 | 2:36 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মাস খানেক না যেতেই আবারও রাজধানীতে আন্দোলন শুরু করেছে সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ ঐক্য পরিষদ । বুধবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কয়েক হাজার শিক্ষক অবস্থান নেন। তবে দুপুর নাগাদ তাদের সে আন্দোলনে দেখা দিয়েছে বিভক্তি। আর এতে করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূল শিক্ষকদের। তারা পাল্টা কমিটি করে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন।

এর আগে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতারা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করেন। কর্মসূচী শুরুর কয়েক ঘন্টার মধ্যে বেসরকারী শিক্ষা জাতীয় করণ ঐক্য পরিষদের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক ৭ দিনের জন্য কর্মসূচী স্থগিত করে মাইকে ঘোষণা দেন। এসময় উপস্থিত অনেক শিক্ষকই তার সে ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেন।

এদিকে ওই ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় নেতারা আন্দোলন স্থল ছেড়ে গেলে শিক্ষকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এসময় মূলমঞ্চ দখলে নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা নতুন কমিটি করার ঘোষণা দেন। উপস্থিত কয়েক হাজার শিক্ষক এ সিদ্ধান্তে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নতুন করে কমিটি গঠন হয়নি। তবে প্রক্রিয়া চলছিলো।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে রংপুরের শিক্ষক বদিউল হক সারাবাংলাকে বলেন, আগের নেতারা পালিয়ে গেছেন। তারা দালাল ও লোভী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দোহাই দিয়ে আমাদের এভাবে নেতৃত্বহীন রেখে পালিয়ে গিয়ে তারা বেইমানি করেছে। আমরা নতুন করে কমিটির পক্ষে। নতুন কমিটির মাধ্যমে দাবি আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে নিতে চাই।

বদিউল হক যখন কথা বলছিলেন তখন তারসঙ্গে গলা মিলাচ্ছিলেন নীলফামারীর ডিমলার দুই শিক্ষক মতিউর রহমান ও বেলায়েত হোসেন। তারা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের ঢাকায় ডেকে এনে এমন মোনাফেকি না করলেও পারতেন। আমাদের আসা-যাওয়ায় অনেক কষ্ট হয়। তারওপর প্রচন্ড রোদ, গরম। এর মধ্যে এমন নিস্ফল আন্দোলনের ডাক কেন দেবেন তারা?

এদিকে প্রেস ক্লাবের সামনে যখন নতুন করে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি চলছিলো তখনো একটি পক্ষ ছিলো কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি অনুগত। তাদেরই একটি গ্রুপকে দেখা যায় সেগুনবাগিচার ঢাকা ল’কলেজের সামনে। সেখানে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা বেসরকারি শিক্ষা জাতীয় করণ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল সাত্তার। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের ১ ঘণ্টা পর পরবর্তী করনীয় সম্পর্কে জানাবেন। এজন্য এখানে বসে আছি।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় নেতাদের এমন ঘোষণা প্রত্যাখান করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নতুন করে কমিটি গঠন হচ্ছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই জানিয়ে আব্দুস সাত্তার বলেন, নতুন করে কারা কমিটি করছে এ বিষয়ে আমরা কিছু জানিনা।

এদিকে একইসঙ্গে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারীর এসোসিয়েশন, বেসরকারি শিক্ষা জাতীয় করণ ঐক্যপরিষদ ও কোটা বিরোধীদের আন্দোলনের কারনে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে নগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় হঠাৎ করে বিঘ্ন ঘটে।

সারাবাংলা/এমএস/জেডএফ

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন