March 14, 2018 | 3:05 pm
এলজিআরডি মন্ত্রী জানান, সিটি নির্বাচন হবে কি না তা আগামী সাত দিনের মধ্যে জানা যাবে। এজন্য বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তারা আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাকতা আছে। আমরা ভাবছি বাধাটা কোথায় থেকে আসতে পারে। আমরা বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে জানতে চেয়েছি, এসব সিটি করপোরশনে কোনো মামলা আছে কি না। নির্বাচন তফসিল নিয়ে হোক, ভোটার লিস্ট নিয়ে হোক, কেউ যদি মামলা করে থাকে তাহলে নির্বাচন হবে না। রিপোর্টটা হাতে পাওয়ার পরে আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব, তাদের সুবিধাজনক সময়ে নির্বাচন করতে। যদি একসঙ্গে সব সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হয়, তাতেও আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।
পৌরসভা কর্মচারীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা স্থানীয় সরকারের সেলফ গভর্নিং বডি। তাদের আয়ে চলে তারা। নিজস্ব বাজেট আছে। সরকার তাদের নিয়ন্ত্রক। এখন তারা কোন উদ্দেশ্যে আন্দোলন করছে তা বুঝতে আমার একটু অসুবিধা হচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা একটা অসুবিধার মধ্যে অবশ্যই আছে। অসুবিধা হচ্ছে, জাতীয় সব বেতন স্কেল প্রায় দ্বিগুন হয়ে গেছে। কিন্তু পৌরসভাগুলোতে আয় বাড়েনি, তাদের অবস্থারও পরিবর্তন হয়নি। আমরা তাদের থোক বরাদ্দ দেওয়া কথা ভাবছি। সেখান থেকে তারা বেতন-ভাতা পাবে।
প্রসঙ্গত, খুলনা সিটি করপোরশেনের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ২৯ মার্চ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে, রাজশাহী সিটি নির্বাচন ৮ এপ্রিল থেকে ৪ অক্টোবরের মধ্যে, বরিশাল সিটি করপোরশেন ২৬ এপ্রিল থেকে ২২ অক্টোবর, সিলেট সিটি করপোরশেন ১১ এপ্রিল থেকে ৭ অক্টোবর এবং গাজীপুর সিটি নির্বাচন ৮ মার্চ থেকে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।