বিজ্ঞাপন

ছেলের লাশের খোঁজে পিয়াসের বাবা

March 14, 2018 | 3:03 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: পার্সপোর্টের অভাবে ছেলের লাশ আনতে নেপাল যেতে পারেননি পিয়াসের বাবা সুখেন্দু রায়। আত্মীয় স্বজন কাউকেও পাঠাতে পারেননি। বুধবার বারিধারার ইউএস বাংলা কার্যালয়ে এসে নেপালে যাওয়ার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে ওর মা শয্যাশায়ী। আমি নিজেও হাই প্রেসারের রোগী। সংবাদ মাধ্যমে খবর শুনে বরিশাল থেকে ছুটে এসেছি। অন্তত লাশটি শনাক্ত করে কীভাবে আনা যায়, পাসপোর্ট না থাকায় নেপালে আমাদের কোনো স্বজনও যেতে পারবে কিনা জানতে এসেছি।’

এ সময় পিয়াসের শোক চাপা দিয়ে অনেকটা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, সংবাদ মাধ্যম থেকে আমরা জানতে পারি স্বজনদের নেপাল নিয়ে যাওয়া হবে। তাই আমার এক আত্মীয়কে এখানে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তার পাসপোর্ট না থাকায় তাকে নেওয়া হয়নি। আমার একটি পাসপোর্ট ছিল, তারও মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা কি করতে পারি তা জানতে এখানে এসেছি।আমাদের নেপালে যেতে হবে কি না? নেপালে যেতে হলে কি করতে হব তা জানতে এসেছি।

বিজ্ঞাপন

স্কুল শিক্ষক সুখেন্দু রায় বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে ওকে মেডিকেলে ভর্তি করি। এখন সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। পিয়াস প্রায় ডাক্তার হয়ে গেছিল, শুধু ইন্টার্নি বাকি ছিল। পড়ালেখার পাশাপাশি সে বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক সংগঠনের সাথেও জড়িত ছিল।’

তিনি জানান, ২০১০ সালে এসএসসি পাশ করেছে পিয়াস। পরে ভর্তি হন নটরডেম কলেজে। গোপালগঞ্জ সায়রা খাতুন মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিল সে।

পিয়াস তাদের একমাত্র ছেলে। সে ঘুরতে ভালোবাসত। তার উদ্দেশ্য ছিল মানুষের সেবা করা। এ কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং না পড়ে গোপালগঞ্জের সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়।

বিজ্ঞাপন

গত ৫ মার্চ তার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর ঘুরতে নেপালের উদ্দেশ্য রওনা হন পিয়াস।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউএস-বাংলা এয়ারলান্সের জিএম কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে নিহত একজনের স্বজন এসেছিলেন। তাদের পরিবারের কারও কোনো পাসপোর্ট নেই। আমরা নিজ খরচে তাদের পাসপোর্ট করিয়ে নেপাল নিয়ে যাবো।’

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন