বিজ্ঞাপন

তাঁতিদের জন্য উদ্যোক্তা পল্লী করা হবে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

November 17, 2020 | 12:25 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: তাঁতিদের উন্নয়ন এবং আর্থিক কষ্ট দূর করার জন্য উদ্যোক্তা পল্লী করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ফার্মগেটের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড আয়োজিত ‘জাতীয় তাঁত নীতিমালা-২০২০’ বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘উদ্যোক্তা তৈরি করতে তাঁতিদের জন্য আলাদা একটি পল্লী করা হবে আমাদের জায়গাতে। আর সেই জায়গাতেই মেলা করা হবে। আমি তাঁতিদেরই লোক। আমি জানি তারা কতটা কষ্টে আছে। করোনা এবং বন্যায় তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের পাশে থাকার জন্য। হয়তো আমরা সেইভাবে তাদের পাশে থাকতে পারিনি তবে চেষ্টা করেছি। মনে রাখবেন, আমি তাঁতিদেরই আপনজন।’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাঁতশিল্প এবং তাঁতিদের উন্নয়ন আমাদের মূল লক্ষ্য। কোন পলিসিতে গেলে তাঁতিদের উন্নয়ন হবে আমরা সেই পলিসিতে যাবো। এই কর্মশালা থেকে নীতিমালা করা হবে। তাঁতিরা যেন সামনে এগিয়ে যেতে পারে এবং দেশকে ভালোকিছু উপহার দিতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তাঁতের একটি শাড়ি তৈরি করতে এক সপ্তাহ আবার ২ বছরও লাগে। তাঁতিদের কত ধৈর্য্য সেটা অনুভব করা কঠিন।’

‘তাঁতিরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করছেন। প্রত্যেকটি দিন আমরা নতুন নতুন ডিজাইন তাদের জন্য পাচ্ছি। এবারের ঈদে তাঁতিরা কাপড় বিক্রি করতে পারেননি। যে কারণে তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই তাঁতিদের ঋণের পরিমাণ আরও কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করছি। এছাড়া বিভিন্ন মেলায় তাঁতিরা অংশ নিতে গেলে বেশি টাকা সেখানে দিতে হয়। সেজন্য আমাদের নিজের জায়গাতে মেলা করার পরিকল্পনা আছে। আমরা তাঁতিদের উন্নয়ন চাই’, বলেন গোলাম দস্তগীর গাজী।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের বস্ত্রখাতের অধিকাংশ যোগান আসে তাঁত শিল্প থেকে। তাঁত শিল্প বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কুঠির শিল্প। জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁত শিল্পের ভূমিকা অপরিসীম। সর্বশেষ তাঁতশুমারি অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদার ৪০ শতাংশ তাঁত শিল্প যোগান দিয়ে থাকে। এ শিল্পের বার্ষিক উদপাদনের পরিমাণ ৬৮.৭০ শতাংশ। আর জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজনের দিক থেকে তাঁত শিল্প খাতের অবদান ১২২৭ কোটি টাকার বেশি। এ শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১৫ লাখ মানুষ জড়িত।

আরও জানা গেছে, দেশে বিদ্যমান ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২টি তাঁত ইউনিটে মোট হস্তচালিত তাঁতের সংখ্যা ৫ লাখ ৫ হাজার ৫৫৬টি। এর মধ্যে চালু তাঁতের সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৫১টি।

অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আলম, সদস্য রেজাউল করিমসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন