বিজ্ঞাপন

পরিবারগুলোর জন্য আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি : প্রধানমন্ত্রী

March 14, 2018 | 8:30 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট 

বিজ্ঞাপন

নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিকল্পনা কমিশনের দুজন অফিসারও সেই বিমানে সেমিনারে যাচ্ছিলেন। আমরা তাদের হারিয়েছি। সিআরআই (সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন)-তে কাজ করছিল একজন, তিনিও মারা গেছেন।

মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আয়োজিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি, পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার। তাদের কার কী প্রয়োজন, তা দেখার নির্দেশ দিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়াও তিনি আর বলেন, পরিচিত অনেকেই সেদিনের দুর্ঘটনার কারণে দুনিয়াতে নেই। যারা আহত তাদের কয়েকজনের অবস্থা খুবই খারাপ। এমন খারাপ যে, তাদের সেখানে থেকে আনারও সুযোগ নেই। সেখানে যা কাজ করার, চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা আরও কী করতে পারি, আলোচনা চলছে।

 

বিমান দুর্ঘটনার কারণে চারদিনের সফরে সিঙ্গাপুর সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফেরার প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনার পরপরই আমি সিঙ্গাপুর সফর বাতিল করে দেশে ফিরে আসি। আমার মনে হয়েছিল, এই সময় আমার দেশে থাকা প্রয়োজন। কারণ বহু বছর আমাদের দেশে এরকম ঘটনা ঘটেনি। আমি বুধবার দেশে ফিরে এসে বৃহস্পতিবার সকালে মিটিং করেছি। সেখানে তিন বাহিনী প্রধান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকেই ছিলেন। একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছি। আগামী শুক্রবার দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনাসভা করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ সভাপতি বৈঠকের নিষয়ে বলেন, আমি গতকাল এয়ারপোর্টে নামার পরপরই আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদককে বলি, ঢাকায় যারা আছে, তাদের সবাইকে নিয়ে আমি বসতে চাই। আমরা এখন শোক প্রস্তাব নেবো। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কী করণীয়, এ ব্যাপারে দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবো।

তিনি আরো বলেন, নেপালে একটি মেডিক্যাল টিম ও ডিএনএ সংগ্রহের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানো হচ্ছে। কারণ, আগুনে পোড়া কিছু লাশ ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা কঠিন। এছাড়া আমরা নেপালে খুব বেশি লোক পাঠাতে পারবো না। কারণ তাদের ওপর চাপ পড়ে যাবে। তবে যা যা লাগবে, তার সহায়তা আমরা দেবো।

বিমান দুর্ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যের বিষয়’ আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যারা নিহত হয়েছে, তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আমি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার আমাদের দলীয় এমপি ও নেতাদের নিদের্শ দিয়েছি। তাদের কী প্রয়োজন, কী সহায়তা করা যেতে পারে, সে ব্যাপারে দেখা করে খোঁজ নিতে বলেছি।’ তিনি বলেন, পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তা, আমাদের দলের সিআরআই-এর ৫ নম্বর অফিসে কাজ করতো একটা ছেলে, তার স্ত্রী ও বাচ্চা, সবাই মারা গেছে। আহতদের অবস্থা খুবই খারাপ। অনেকের অবস্থা এমন যে, ওখান থেকে নিয়ে আসারও উপায় নেই। ইতোমধ্যে আমাদের বিমানমন্ত্রী নেপালে গেছেন। নেপালের প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। করণীয় বিষয়ে আলোচনা করছেন তিনি।

নেপাল এয়ারপোর্টকে অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ এয়ারপোর্ট মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে ৭০ বার দুর্ঘটনা ঘটেছে ওখানে। নেপালের কিছু শিক্ষার্থী ছিল ওই বিমানে। তারা আমাদের দেশে মেডিক্যালে পড়ে ডাক্তার হতে এসেছিল। এমবিবিএস পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল। আজকে তারাও নেই। ফুল না ফুটতেই ঝরে গেলো।

বিজ্ঞাপন

গণভবনের এই বৈঠকে দলের উপদেষ্টা পরিষদ, কার্যনির্বাহী সংসদ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

 

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন