বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব কী করছে, নজর দেওয়া প্রয়োজন: ইইউ

December 2, 2020 | 4:47 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে গোটা বিশ্ব কী করছে, সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। শুধু ইউরোপ নয়, বিশ্বের অন্য রাষ্ট্রগুলোর কর্মকাণ্ডও দেখা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকার কূটনৈতিক সংগঠন ডি-ক্যাব আয়োজিত ‘ডি-ক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতরা এমন মন্তব্য করেন। রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বুধবার (২ ডিসেম্বর) ‘ডি-ক্যাব টক’ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সন্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিস্কো ডি অ্যাসেস বেনেতেজ সালাস, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি স্ট্রাপ পিটারসন, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়াজ এবং ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নানজিয়াতা উপস্থিত থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। ডিকাবের প্রেসিডেন্ট আঙ্গুর নাহার মন্টির সঞ্চালনায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান অতিথিদের অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান।

গণমাধ্যমকর্মীরা ইইউ দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের কাছে জানতে চান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে ইইউ কোনো চাপ দিচ্ছে না কেন? গত তিন বছরে প্রত্যাবাসনের জন্য ইউরোপীয় দেশগুলো মূলত কী করেছে? চলমান পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে যে জাতিসংঘসহ গোটা বিশ্বই বলছে যে মিয়ানমার সরকার রাখাইনে গণহত্যা ঘটিয়েছে। কিন্তু তারপরও ইউরোপের দেশগুলো মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যসহ একাধিক সম্পর্ক জিইয়ে রেখেছে। গত কয়েক বছরে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের বাণিজ্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী।

বিজ্ঞাপন

জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক বলেন, ‘নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং সম্মানের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য ইইউ জাতিসংঘ, আইওএম (আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা), ওআইসি (ইসলামিক দেশগুলোর জোট), গাম্বিয়া, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের শিবিরের জন্য ইইউ-এর সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।’

রেনসে তেরিঙ্ক আরও বলেন, ‘ইইউ চায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধান চায়। এজন্য মিয়ানমারের ওপর ইউরোপের দেশগুলো অনেক নিষেধাজ্ঞাও অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু এই সংকট সমাধানের জন্য শুধু ইউরোপের দিকে তাকালে হবে না, গোটা বিশ্বের দিকে নজর দিতে হবে। সবাইকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্র, ভারত এবং চীনসহ আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়কে এই বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে।’

রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তর প্রসঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক বলেন, ‘এক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে জাতিসংঘের মূল্যায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে আমরা মন্তব্য করতে পারছি না।’

বিজ্ঞাপন

নেদারল্যান্ডস-এর রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়াজ জানান, ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন