বিজ্ঞাপন

২য় ধাপে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম পাবে ১৮৬ উপজেলা

December 9, 2020 | 8:56 am

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের ১২৫টি উপজেলায় এরই মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। এর ধারাবাহিকতায় এবার দ্বিতীয় ধাপে ১৮৬টি উপজেলায় নির্মাণ করা হবে এই স্টেডিয়াম। দ্বিতীয় পর্যায়ে স্টেডিয়ামের জন্য বেছে নেওয়া এই ১৮৬টি উপজেলা বাছাই করা হয়েছে ৫৭টি জেলা থেকে।

বিজ্ঞাপন

স্টেডিয়াম নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে ‘উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উপজেলা পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান পরিচালনাসহ খেলোয়াড়দের অনুশীলন করার জন্য অবকাঠামো সুবিধা বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, এরই মধ্যে প্রকল্পটির প্রক্রিয়াকরণ শেষ হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) পরবর্তী যেকোনো বৈঠকে প্রকল্পটি উপস্থাপনের প্রস্তুতিও চূড়ান্ত। অনুমোদন পেলে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতীয় জীবনে শৃঙ্খলা, সুস্বাস্থ্য, নেতৃত্ব ও চরিত্র গঠনে খেলাধুলার অবদান অপরিসীম। বিশেষ করে দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে ক্রীড়া কার্যক্রমে আগ্রহী করে প্রাণচাঞ্চল্য ও চিত্ত-বিনোদনের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে তাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতেও খেলাধুলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সে কারণেই সরকার প্রতিটি উপজেলায় খেলার মাঠ নির্মাণের জন্য উপজেলা পর্যায়ে একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়। এর অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ১২৫টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প ২০১৯ সালের ৩০ জুনে শেষ হয়েছে। এবারে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৮৬টি উপজেলায় এই মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে— ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়ন, প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেলের ম্যুরাল স্থাপন, প্যাভিলিয়ন ভবন নির্মাণ, গ্যালারি, কম্পিউটার সামগ্রী ও আসবাবপত্র কেনাকাটা, আরসিসি সারফেস ড্রেন নির্মাণ এবং গাছ লাগানো।

প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সহজ হবে। তাছাড়া এসব স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়রা অনুশীলন করতে পারবেন। তাতে করে তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়বে। সার্বিকভাবে খেলাধুলার মান উন্নয়নে এই প্রকল্প সহায়ক হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।

প্রকল্পটি নিয়ে গত ১২ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশে বলা হয়, আইএমইডি’র মূল্যায়ন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশগুলো প্রতিফলন করে ডিপিপি পুনর্গঠন করতে হবে। স্টেডিয়ামগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য মাঠের ব্যবহার, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি করতে হবে। প্রকল্পের আওতায় একটি জিপ, একটি ডাবল কেবিন পিকআপ ও আটটি মোটরসাইকেল কেনা এবং যানবাহনের জ্বালানি ব্যয় প্রস্তাবের জায়গায় প্রকল্প মেয়াদে একটি হায়ারিং চার্জে মাইক্রোবাসের সংস্থান রেখে ডিপিপি পুনর্গঠন করতে বলা হয় পিইসি সভায়।

বিজ্ঞাপন

এতে আরও বলা হয়, প্রকল্পের আওতায় বিদেশ সফর বাদ দিতে হবে। জনবল বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনবল কমিটির সুপারিশ ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করতে করতে হবে। পরামর্শক ব্যয় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করে ডিপিপি পুনর্গঠন করতে হবে। প্রতিটি স্টেডিয়ামে বৃক্ষরোপণের ক্ষেত্রে বৃক্ষের ধরন এবং সংখ্যা ডিপিপিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। মাটি পরীক্ষা, ডিজিটাল সার্ভে, স্থাপত্য ও কাঠামোগত ডিজাইন, ড্রয়িং ইত্যাদি খাতে ব্যয় যৌক্তিকভাবে কমাতে হবে। প্রকল্পের আওতায় দ্বীপজেলা ভোলার অবশিষ্ট উপজেলা (মনপুরা ছাড়া) এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয় পিইসি সভায়।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, পিইসি সভার এসব সুপারিশ প্রতিপালন করেই প্রকল্পের প্রস্তাব পুনর্গঠন করা হয়েছে। আর সে কারণেই প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে বলে আশা করছে মন্ত্রণালয়।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন