December 11, 2020 | 7:49 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই অধিনায়কত্ব করতে দেখা যাচ্ছে তরুণ টপ অর্ডার ব্যটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তকে। তাতে নিয়মিত আলাদা করে নজরও কাড়ছেন তরুণ ক্রিকেটার। সতীর্থদের কাছ থেকে সেরাটা বের করে নেওয়ার ছক কষছেন, অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন আবার নিজেও পারফরর্ম করছেন। তরুণ পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন বলছেন, অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জাতীয় দলের অধিনায়কত্বও উঠবে শান্তর কাঁধে।
সাইফ-শান্ত এক সঙ্গে খেলছেন অনেক বছর ধরে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটেও শান্তর নেতৃত্বে খেলেছেন সাইফ। ফলে অনেকদিনই অধিনায়ক শান্তকে দেখার সুযোগ হয়েছে তার। সাইফ শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমে বললেন, শান্তর অধিনায়কত্ব প্রসংশনীয়।
তরুণ অলরাউন্ডার বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই। সে (শান্ত) একজন লড়াকু ক্রিকেটারই নয়, একজন লড়াকু অধিনায়কও। মাঠে ও যেভাবে ফিল্ডিং সাজায়, অধিনায়কত্ব করে এবং গোটা দলকে অনুপ্রেরণা যোগায়, সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে ওকে দেখে আসছি। সেই ২০১০ সাল থেকে। ও আর (মেহেদী হাসান) মিরাজ একসঙ্গে ছিল। ওই সময় হয়তো মিরাজ বেশি নেতৃত্ব দিত। কিন্তু মিরাজ চোটে থাকলে বা অসুস্থতার কারণে কোনো ম্যাচ খেলতে না পারলে শান্তই অধিনায়কত্ব করত। আসলে আমরা মিরাজ ও শান্ত দুজনের নেতৃত্বই ছোটবেলা থেকে উপভোগ করতাম।’
সাইফের মতে, নেতৃত্বগুণ আছে বলেই ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত অধিনায়কত্ব দেওয়া হচ্ছে শান্তকে, ‘ভবিষ্যতে… শান্ত যেভাবে ব্যাটিং করছে, যদি সে ধারাবাহিক থাকে, চার-পাঁচ বছর পর (জাতীয় দলের) নেতৃত্ব হয়তো সে-ই পাবে। আপনারা যদি দেখেন, হাইপারফরম্যান্স দল, এ-দল সব জায়গায় সে নেতৃত্ব দিয়েছে। নিশ্চয়ই ওর মধ্যে নেতৃত্বগুণ আছে।’
সাইফ বলেন, ‘এখনও (বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ) কিন্তু সে মাঠে অসাধারণ অধিনায়কত্ব করছে, কিন্তু ম্যাচের ফল হয়তো আমাদের দিকে আসছে না। তবে মাঠের ভিতরে-বাইরে মিলিয়ে ও যেভাবে সবাইকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে, সেটা অসাধারণ।’
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে শান্ত-সাইফ দুজনেই খেলছেন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর হয়ে। জিততে জিততে কয়েকটি ম্যাচ হেরে যাওয়া দলটি এখন বিপদে। পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ দলের মধ্যে চার নম্বরে আছে রাজশাহী। তবে শান্ত পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাটিং করেছেন দুর্দান্ত। টর্নেডো এক সেঞ্চুরিতে ৭ ম্যাচে রান করেছেন ২৯০। স্ট্রাইক রেট ১৫৯.৩৪।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএইচএস