বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

December 13, 2020 | 12:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ২১ বছর আগের আলোচিত চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলায় বর্তমান এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত আরও পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক এ রায় দিয়েছেন। বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী সারাবাংলাকে রায়ের বিষয় জানিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ১০ আসামি হলেন— সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেজাম উদ্দিন, মো. জাহেদ, আবু মোহাম্মদ রাশেদ, মো. তারেক, ফারুক আহমেদ, জিল্লুর রহমান, মো. রফিক, ইমতিয়াজ আকাশ মানিক, জসিম উদ্দিন ও বশির আহম্মদ। এদের মধ্যে বশির আহম্মেদ ছাড়া বাকিরা কারাগারে আছেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি পাঁচ জন হলেন— মো. ইদ্রিস, মোর্শেদ আলম, মো. হারুন, মো. আইয়ূব ও ইদ্রিছ। এর মধ্যে মো. ইদ্রিস ছাড়া বাকি সবাই পলাতক আছেন।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া এই মামলায় পলাতক আরও চার আসামি খালাস পেয়েছেন। তারা হলেন— মো. তাহের, খায়ের, মোস্তাক আহমেদ ও আব্দুল মালেক।

১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর রাত ১২টায় সাতকানিয়া থানার মির্জাখীল বাংলাবাজার এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে কথা বলার সময় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় তার স্ত্রী সৈয়দা রওশন আক্তার বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত শেষে ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এদের মধ্যে একজন আসামি বিচার চলাকালে মারা যান।

বিজ্ঞাপন

২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ মোট ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, একজনের মৃত্যুর পর বাকি ১৯ আসামির মধ্যে ১৫ জন দণ্ডিত হয়েছেন। চারজন খালাস পেয়েছেন। ১৯ জনের মধ্যে ৯ জন ঘটনার পর থেকেই পলাতক আছেন।

আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের রায়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নিরপরাধ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে প্রথমে। এরপর এজাহার ও অভিযোগপত্র, সাক্ষ্য এবং যুক্তিতর্ক যথাযথভাবে বিশ্লেষণ না করে রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন