বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না: ফখরুল

December 16, 2020 | 2:27 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর শের-ই বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ফিরে এসে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার কবর জিয়ারত করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না। বিশ্বাস করে না বলেই স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে অপমান করে এবং গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না বলে গণতন্ত্রের নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে রাখে। আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে একটি ফ্যাসিবাদী স্বৈরতান্ত্রিক দলে এবং সরকারের পরিণত হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, ৫ শ‘রও উপরে মানুষ গুম হয়ে গেছে, হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ নিহত হয়েছে। ফলে দেশে একটা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে জনগণ আজ আবার নতুন করে শপথ গ্রহণ করছে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তারা অবশ্যই দেশকে মুক্ত করবে, মানুষের গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এবং গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।’

‘একটি নিরপেক্ষ সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এদেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা শপথ গ্রহণ করেছি’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘যে চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলো বাংলাদেশের মানুষ, সেই চেতনা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক একটি সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, ১৯৭৪-৭৫ সালে দেশে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছিলো।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘ ১০ বছর তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে এবং গণতন্ত্রকে ধবংস করে মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ধবংস করে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করছে। স্বাধীনতার চেতনাকে তারা ধবংস করে দিয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় প্রতারণার রাজনীতি করে। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু কাজে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। তারা সবসময় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সবরকম অনৈতিক কার্যকলাপ করে। এখন সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে, বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।’

এ সময়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আমিনুল হক, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুজ্জামান শিমুল, আকরামুল হাসানসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

বিজ্ঞাপন

পরে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সভাপতি হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, কাজী আবুল বাশারসহ নেতা-কর্মীদের নিয়ে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন।

অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতানা সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, মামুন হাসান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মাওলা শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, গোলাম সারোয়ার, ইয়াসীন আলী, সাদরেজ জামান, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, তাঁতী দলের আবদুল কালাম আজাদ, উলামা দলের শাহ নেছারুল হক, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুর রহিম, জাসাস শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক এমতাজ হোসেন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ দলের পক্ষে জিয়ার কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন।

সারাবাংলা/এজেড/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন