বিজ্ঞাপন

কুষ্টিয়ায় এবার বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর

December 18, 2020 | 2:36 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কুষ্টিয়া: জেলার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে নির্মিত ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবের অদ্বিতীয় নেতা যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের (বাঘা যতীন) ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে দৃর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়রা দেখতে পান বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার ভোরে দুর্বৃত্তরা এই ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছে। এর আগে, কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছিল।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত জানান, বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্যের আঘাত করা হয়েছে তাতে মুখ এবং নাকে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাটি জেনেছি কিছুক্ষণ আগে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাংচুর এবং বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর একই সূত্রে গাঁথা। মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এই ঘটনা ঘটিয়েছে, দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড নূর আহমদ বকুল বলেন, ‘সময় এসেছে উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার। স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র মৌলবাদী চক্র একের পর এক ভাস্কর্য আঘাতের যে ঘটনা ঘটাচ্ছে, সেটি শুধু ভাস্কর্যের আঘাত নয় এদেশের স্বাধীনতার চেতনায় আঘাত। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তারা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।’

ভাস্কর্য ভাঙচুরের বিষয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘মৌলবাদী গোষ্ঠির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য ভাস্কর্যের ওপরে আঘাত হানছে, এটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাঘা যতীনের জন্মভিটা তার মামার বাড়ির আঙ্গিনায় নির্মাণ হয়, কয়া মহাবিদ্যালয়। ওই স্কুল মাঠেই ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিপ্লবী বাঘা যতীনের মৃত্যু শতবার্ষিকী পালন করা হয় এবং সেখানে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালে ভারতের ত্রিপুরার গভর্নর তথাগত রায় চৌধুরী সেখানে একটি স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন ।

বিজ্ঞাপন

১৯১৫ সালে ভারতের উড়িষ্যার বালেশ্বরে পুলিশের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে বাঘা যতীন আহত হন। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর বালেশ্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃতুবরণ করেন। ভারতে বাঘা যতীনের নামে অনেক কিছু থাকলেও কুষ্টিয়ায় তার জন্মভূমি কয়া গ্রামের মামাবাড়ির সামনে এই ভাস্কর্যই তার একমাত্র স্মৃতি।

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন