বিজ্ঞাপন

ছোটবেলায় বলেছিল বাবা, ‘তোরে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে দেবো’

December 19, 2020 | 6:49 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নেত্রকোনা: নেত্রকোনায় ছেলের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়ার। আর বাবা তার বিয়ের আয়োজনটাই করলেন হেলিকপ্টারে চড়িয়ে। এজন্য বাবা সময় নিয়েছেন ২৭ বছর। এতে ছেলের শখ তো পূরণ হলোই, সঙ্গে জীবনের একটা স্মৃতি হয়ে থাকল তার।

বিজ্ঞাপন

নেত্রকোনার আবুল মনসুর খানের (রতন মিয়া) বড় ছেলে মেহেদী হাসান খান রনি শৈশবে হেলিকপ্টার উড়তে দেখে বাবার কাছে হেলিকপ্টারে চড়ার আবদার করেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর। ওই সময় বাবা বলেছিলেন, ‘বড় হওয়ার পর তোরে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে দেব।’ ছেলের সেই স্বপ্ন এবার বাস্তবে পরিণত করলেন বাবা।

ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের সাহতা গ্রামে। স্বপ্নপূরণ হওয়া ওই ছেলের নাম প্রকৌশলী মেহেদী হাসান খান রনি (৩৫)।

জানা গেছে সাইপ্রাস প্রবাসী নববধূ প্রকৌশলী জান্নাতুল ফেরদৌস আলিফা ও বর মেহেদী হাসান খান রনির বিয়ে পারিবারিকভাবেই সম্পন্ন হয়। নববধূ ঢাকার বেইলি রোডের ব্যবসায়ী আলমগীর কবিরের বড় মেয়ে।

বিজ্ঞাপন

বরের বাবা মো. আবুল মনসুর খান একজন কৃষক। ছেলের স্বপ্ন পূরণে তিন লাখ টাকায় হেলিকপ্টার ভাড়া নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেন। ছেলের স্বপ্নপূরণ করতে পরে খুশি তিনিও। বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর ১২টায় হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে রওনা হয় তার ছেলে। আজ শনিবার নেত্রকোনায় গ্রামের বাড়িতে বউভাতের আয়োজন করা হয়।’

প্রকৌশলী মেহেদী হাসান খান রনি বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়ার। সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হলো।’ এজন্য তিনি তার বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পল্টন সরকার বলেন, ‘হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনা আমার এলাকায় এটিই প্রথম। এর আগে বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নে এভাবে কারও বিয়ে করার ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টিতে এলাকাবাসীও খুব খুশি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন