বিজ্ঞাপন

কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাড়ছে দুর্ভোগ

December 19, 2020 | 9:33 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কুড়িগ্রাম: শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই কমে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ফাঁকা হয়ে পড়ছে বাজার ও রাস্তা-ঘাট। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করলেও শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিজ্ঞাপন

মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এ অবস্থা আরও কয়েকদিন পর্যন্ত চলতে পারে।

এদিকে, গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন হতদরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। দিনের বেলা সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও সন্ধ্যার পর থেকে রাত যতই গভীর হয় তাপমাত্রা ততই নিম্নগামী হয়ে পড়ে। দিনে শীত কিছুটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে কনকনে ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হওয়াই মুশকিল হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে জেলার সাড়ে ৪ শতাধিক চরাঞ্চলের দিনমজুর পরিবারের মানুষজন। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন বলেন, ‘ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় এবং প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে আমার ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের মানুষের খুবই কষ্টে দিনযাপন করছে। সরকারিভাবে যে ৬৪০ পিস কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি তা বিতরণ করা হয়েছে। আমার ইউনিয়নের বেশিরভাগ চরাঞ্চল হওয়ায় হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি। আমি বিত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন তারা এসব অসহায় মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়।’

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, সরকারিভাবে জেলার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ৩৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার ৯ উপজেলায় গরম কাপড় কিনে বিতরণের জন্য ৬ লাখ করে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন