বিজ্ঞাপন

সুপার সিক্সের আশা বাঁচিয়ে রাখল শেখ জামাল-খেলাঘর

March 16, 2018 | 6:04 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

আবাহনী, প্রাইম দোলেশ্বর সুপার সিক্স নিশ্চিত করে ফেলেছিল আগেই। প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, আজকের জয়ে ধরে ফেলল আবাহনীকেও। অবনমন প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া কলাবাগানকে হারিয়ে সুপার সিক্সের আশা বাঁচিয়ে রাখল শেখ জামাল ধানমন্ডিও। অন্যদিকে মোহামেডানের সুপার সিক্সের আশায় বড় একটা ধাক্কা দিয়ে শীর্ষ ছয়ের পথে বড় একটা লাফ দিয়েছে খেলাঘর।

আজ তিনটি ম্যাচেই একটা মিল আছে, সবগুলো দলই বলতে গেলে জিতেছে হেসেখেলেই। মিরপুরে খেলাঘরের সঙ্গে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল মোহামেডানের। দুই ওপেনার জনি তালুকদার ও এনামুল হক জুনিয়র মিলে গড়ে তুলেছিলেন ৭৩ রানের জুটি। কিন্তু এনামুলকে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই যেন পথ হারাতে শুরু করে মোহামেডান।

দলের ৭৯ রানে আউট হয়ে গেছেন রনি তালুকদার। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছে এরপরেই, স্কোরবোর্ডে ১০৩ রান উঠতেই ৫৫ রান করে ফিরে গেলেন ওপেনার জনি তালুকদার। দেখতে দেখতে সেটা হয়ে গেল ৫ উইকেটে ১১৬। দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই আউট হয়ে গেছেন রকিবুল হাসান ও ইরফান শুক্কুর। অধিনায়ক শামসুর রহমানও রানের জন্য সংগ্রাম করছিলেন, শেষ পর্যন্ত ২০ রান করেই আউট হয়ে গেছেন। ১২২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বসেছে মোহামেডান। ১৩১ রানে সাঈদ সরকার হলে আরও বিপদে পড়ে যায় মোহামেডান। এরপর তাইজুল ইসলামের ৩৮ বলে ৩৪ রানে ১৮১ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে মোহামেডান। ৩৮ বলে ৩৪ রান করেছেন তাইজুল। ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে তানভীর ছিলেন খেলাঘরের সফলতম বোলার।

বিজ্ঞাপন

এই রান তাড়া করতে নেমে ৯ রানেই ওপেনার রবিউল ইসলাম রবিকে হারিয়ে বসেছিল খেলাঘর। দলের ৫৩ রানে অঙ্কন ফিরে যাওয়ার পর ৭৫ রানে ফেরেন রাফসানও। কিন্তু এরপর মোহামেডানের আশা চূর্ণ করে খেলাঘরকে জয়ের পথে নিয়ে গেছেন অমিত মজুমদার ও ভারতের অশোক মানেরিয়া। দুজনের চতুর্থ উইকেটে ৮৯ রানের জুটিই নিশ্চিত করেছে জয়। অমিত ৭৬ রানে আউট হলেও মানেরিয়া অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানে।

একতরফা হয়েছে ব্রাদার্সের সাথে রূপগঞ্জের ম্যাচও। শুরুতে ভালোই খেলছিল ব্রাদার্স, ২ উইকেটে তুলে ফেলেছিল ১২২ রান। কিন্তু এরপর হঠাৎ করেই ধ্বস নামে ইনিংসে, ১৫০ থেকে ১৭৮- এই ২৮ রানে তারা হারিয়ে বসে শেষ ৭ উইকেট। রূপগঞ্জের হয়ে মোহাম্মদ শহীদ ও আসিফ হাসান নিয়েছেন চারটি করে উইকেট।

১৭৮ রান তাড়া করতে নেমে ৮ রানেই সালাহউদ্দিন পাপ্পুকে হারিয়ে বসে রূপগঞ্জ। কিন্তু বলতে গেলে আবদুল মজিদ একাই জয় বের করে এনেছেন রূপগঞ্জের হয়ে। ১১০ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ওপেনার, পাঁচটি চারের সাথে মেরেছেন সাতটি ছয়ও। ৩৭.৩ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে রূপগঞ্জ।

বিজ্ঞাপন

ফতুল্লায় শেখ জামাল ও কলাবাগানের ম্যাচে শেখ জামাল অলআউট হয়ে যায় ২৬৩ রানে, সর্বোচ্চ ৭১ করেছেন রাকিন আহমেদ। ৬০ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তানভীর হায়দার।

সেই রান তাড়া করতে নেমেই কলাবাগান শুরু থেকে উইকেট হারাতে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। শেষ পর্যন্ত ৪৭.৩ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে ১৯০ রানে। ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন জামালের ইলিয়াস সানী।

১০ রাউন্ড শেষে প্রিমিয়ার লিগে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী সবার ওপরে। ১৪ পয়েন্ট আছে রূপগঞ্জেরও। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে প্রাইম দোলেশ্বর, ১২ পয়েন্ট নিয়ে চারে খেলাঘর। শাইনপুকুর, শেখ জামাল, গাজী গ্রুপ ও প্রাইম ব্যাংকের পয়েন্ট ১০। মোহামেডানের পয়েন্টও ৯। আবাহনী, রুপগঞ্জ ও দোলেশ্বরের সঙ্গী কারা হচ্ছে, সেটা জানা যাবে শেষ রাউন্ডেই।

 সারাবাংলা/ এএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন