বিজ্ঞাপন

‘জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারিতেই দেশে আসছে করোনার টিকা’

December 21, 2020 | 3:27 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই অক্সফোর্ডের করোনার টিকা বাংলাদেশে আসছে বলে মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সচিব এ তথ্য নিশ্চিত করেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রীরা সচিবালয় থেকে বৈঠকে অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, জানুয়ারির শেষ দিকে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই দেশে করোনার টিকা পাওয়া যাবে। এছাড়া মে-জুন মাসে আরও ছয় কোটি ভ্যাকসিন আনার বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কভেক্সের মাধ্যমে সেটা আসবে।’

তিনি বলেন, ‘টিকা দেওয়ার জন্য গ্রাসরুট লেভেলের সবাইকে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ইনফেকশন বা যে কটনগুলো ব্যবহার করা হবে সেগুলো কিভাবে ডিসপোজেবল করা হবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রাইভেট সেক্টরকে ইনক্লুড করে ভ্যাকসিন দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়েও ওনারা (স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা) আলাপ-আলোচনা করছেন।

বিজ্ঞাপন

অক্সফোর্ড ছাড়া অন্য কারও করোনা টিকা আমদানির বিষয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আপাতত অক্সফোর্ড নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অনুমিতসহ তাহলে সরকার কাউকে মানা করবে না। তবে তাকে স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মানতে হবে।’

অন্য টিকা নিয়ে কেন ভাবা হচ্ছে না, এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকে বড় সংকট মনে করা হচ্ছে। এটি খুব ডিফিকাল্ট। আপনি গ্রাসরুট লেভেল এ নিয়ে যাবেন মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়ানে। তারপর আপনি যে ফ্লাক্সে নিয়ে যাবেন সে ফ্লাক্সের টেম্পারেচার মেইনটেইন করার মতন কোনো স্ট্রাকচার আমাদের নেই। হয়তো কোল্ড স্টোরেজগুলোতে রাখতে পারবেন। তারপর যখন বের করবেন তখন সেই তাপমাত্রা মেইনটেন করা খুব কঠিন।’

বিজ্ঞাপন

মর্ডানার টিকা সাধারণ রিফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা যায় বিষয়টি সচিবকে জানানো হলে তিনি বলেন, ‘এটা তো টেকনিক্যাল বিষয়। আমরা তো টেকনিক্যাল লোক না, টেকনিক্যাল যে কমিটি আছে এটা ওনারা দেখবেন। তারা যদি মনে করেন আমাদের যে স্ট্রাকচার আছে, সেখানেই মেজর কোনো চেঞ্জ না করে দেওয়া যাবে, হ্যাজার্ড হবে না… এটা তো টেকনিক্যাল বিষয়। আমরা এখন পর্যন্ত যা জানি, মর্ডানা ও ফাইজার; যে দুটি আছে সেটার একটি মাইনাস ২৫ এবং আরেকটি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয় ।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন