বিজ্ঞাপন

‘মসলা মাঠেই থাকা ভালো, মাঠের বাইরে নয়’

March 17, 2018 | 9:16 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ব্যাপারটা নিয়ে কথাই বলতে চাইলেন না। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চেও প্রশ্নটা করা হলো সাকিব আল হাসানকে। বার বার বললেন, মাঠের ব্যাপারটা মাঠেই শেষ করে আসা উচিত। পরে সংবাদ সম্মেলনেও এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলো সাকিবকে। সেখানে অবশ্য দোনোমোনো করে আসল কারণ বললেন। আম্পায়ার নো বল দেওয়ার পরও সেই সংকেত তুলে নেওয়ার জন্যই মন খেপেছিলেন সাকিব, স্বীকার করলেন।

বাংলাদেশের শেষ ওভারের ঘটনা। ইসিরু উদানার প্রথম বল বাউন্সার, কোনো রান হলো না। পরের বলও বাউন্সার, এবারও রান নিতে পারলেন না মোস্তাফিজ। দৌড়াতে গিয়ে বরং রান আউট হয়ে গেলেন। মাহমুদউল্লাহ তখন আম্পায়ারের কাছে গিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছেন, কেন সেটা নো বল দেওয়া হলো না। শুরুতে সংকেত দিয়েও পরে তা উঠিয়ে নিয়েছিলেন মূল আম্পায়ার। ওদিকে সাকিব আল হাসান তখন নেমে এসেছেন বাউন্ডারি-রেখার পাশে। উত্তপ্ত অবস্থায় রিজার্ভ আম্পায়ারকে জানাচ্ছিলেন নিজের ক্ষোভের কথা। একটা সময় হাত দিয়ে উঠে চলে আসার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। মাহমুদউল্লাহও সেই সংকেত দেখে উইকেট ছেড়ে অনেকটা কাছে চলে এসেছিলেন। কিন্তু পরে খালেদ মাহমুদ এসে সাকিবকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে পাঠান ওপরে। মাহমুদউল্লাহও আবার ব্যাট করতে গেলেন। বাকিটা তো ইতিহাস!

বিজ্ঞাপন

সাকিবকে এ নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তা এড়িয়ে গেলেন। শুধু বললেন, ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রতিযোগিতাটা সবসময়ই ছিল। কিন্তু সেটা কেবল মাঠেই। তার বাইরে আমরা আসলে বন্ধু। মাঠের ব্যাপার মাঠেই শেষ করে আসা উচিত।’ পরের কথায় অবশ্য একটু যেন অনুশোচনাও প্রকাশ পেল, ‘আবেগ অনেক সময় নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। এসব আসলে হতেই পারে। একজন অধিনায়ক হিসেবে আমার আরও সচেতন থাকা উচিত।’

সংবাদ সম্মেলনেও এ নিয়ে কথা বলতে চাইলেন না। তবে কেন মেজাজ হারিয়েছিলেন, সেটা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বললেন, আম্পায়ারকে শুরুতে নো বল দিতে দেখেও পরে না দেওয়ায় অবাক হয়েছিলেন। পরে অবশ্য তাঁর কথায় প্রকাশ পেল খানিকটা অনুতাপও, ‘মাঠে অনেক কিছুই হয়েছে যেটা আসলে হওয়াটা উচিত হয়নি। একজন অধিনায়ক হিসেবে আমাকে শান্ত থাকতে হবে। আমি বেশি আবেগে ভেসে গিয়েছিলাম। উত্তেজনাও ছিল। পরের বার কী করতে হবে সেটা আমি জানি। আমাকে আরও সতর্ক হতে হবে। আমরাও মানুষ, এটা মনে রেখেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

কিন্তু শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বৈরথ গত কয়েক মাসেই বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সাকিব এ নিয়ে রসিকতা করে বললেন, ‘কিছু খোঁচাখুঁচি তো মানুষের জন্য খারাপ না। আপনাদের জন্যও ভালো (সাংবাদিকদের, সেটা বলতে আবার হাসির রোল)। একটু মসলা তো ক্রিকেটের জন্যই ভালো। নইলে তো আর মজা থাকে না। আর আমরা বাংলাদেশীরা-শ্রীলঙ্কানরাও একটু মসলা পছন্দ করি। তবে সেটা মাঠে হওয়াই ভালো, মাঠের বাইরে নয়।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ এএম/ এসএন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন