বিজ্ঞাপন

থার্টি ফার্স্টে জমায়েত-আতশবাজি নিষিদ্ধ, ৮টার পর বন্ধ ফাস্টফুড

December 29, 2020 | 6:43 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট, তথা খ্রিস্টাব্দ বরণের আয়োজন সীমিত পরিসরে আয়োজন করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সরকারি নির্দেশনার বরাত দিয়ে ডিএমপি বলছে, ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকায় কোনো ধরনের উন্মুক্ত আয়োজন কিংবা যেকোনো স্থানে জমায়েত ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার পর রাজধানীতে সব বার এবং রাত ৮টার পর ফাস্টফুডের দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিজস্ব সংস্কৃতি, নৈতিক মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হতেও বলা হয়েছে ডিএমপির পক্ষ থেকে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ডিএমপি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ৩১ ডিসেম্বর রাতে পট্কাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি, মোটরসাইকেল চালনাসহ যেকোনো ধরনের অশোভন আচরণ ও বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে সবাইকে।

ডিএমপি থেকে পাঠানো নির্দেশনায় থার্টি ফার্স্ট নাইটের জন্য বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে— ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনো ধরণের জমায়েত বা সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না; উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান বা সমবেত হওয়া যাবে না বা নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না; কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি বা পট্কা ফোটানো যাবে না।

নিষেধাজ্ঞায় আরও বলা হয়েছে— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় জানিয়ে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে, আর পরিচয় জানিয়ে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে হেঁটে প্রবেশ করা যাবে ঢাবি এলাকায়। রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।

বিজ্ঞাপন

গুলশান-বনানী এলাকাতেও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকছে থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে। ডিএমপি বলছে— গুলশান ও বনানী এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ওই এলাকায় বসবাসরত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পরও কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) ও মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় জানিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না, তাদের ৩১ ডিসেম্বর রাতে এসব এলাকায় যেতে নিরুৎসাহিত করছে ডিএমপি।

ডিএমপির নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে— ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। রাত ৮টার পর সব ফাস্টফুডের দোকান বন্ধ থাকবে। আবাসিক হোটেলগুলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে কোনোভাবেই ডিজে পার্টি করতে দেওয়া যাবে না।

ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ বা উৎসবস্থলে কোনো ধরনের লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করতেও অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি। এসব নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ডিএমপি আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

Tags: , , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন