বিজ্ঞাপন

‘ব্লুমবার্গের স্বীকৃতির জন্য আমি নিজেকেও অভিনন্দন জানাই’

December 30, 2020 | 12:42 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বর্তমানে অনেক ভালো বলেই ব্লুমবার্গের করোনা ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ স্থান পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ব্লুমবার্গের ওই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান করে নেওয়ায় নিজেই নিজেকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে অনেক ভালো। ব্লুমবার্গের স্বীকৃতিতে মহামারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ২০তম অবস্থানে আছে। এটা কিন্তু কম বিষয় নয়। আমি নিজেকেও অভিনন্দন জানাই ব্লুমবার্গের স্বীকৃতির জন্য, প্রধানমন্ত্রীকেও জানাই অভিনন্দন। আমি মনে করি এই অর্জনের পেছনে সরকার যেমন কাজ করেছে, প্রাইভেট সেক্টরও একইভাবে কাজ করেছে।

আরও পড়ুন- করোনা ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ২০তম, দ. এশিয়ায় সেরা

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও কোভিড-১৯ এর নতুন স্ট্রেইন ছড়ানো নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

জাহিদ মালেক বলেন, ব্লুমবার্গের স্বীকৃতি কিন্তু ছোট করে দেখার বিষয় না। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪০তম, ইউরোপের বেশিরভাগ দেশই ওই পর্যায়ে, ভারত ও পাকিস্তানও অনেক পেছনে— সেখানে বাংলাদেশের ২০তম অবস্থান বড় অর্জন। আমাদের সবকিছুর স্বল্পতা রয়েছে। তারপরও এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থানও কিন্তু কম অর্জন না।

তিনি বলেন, করোনায় সারাবিশ্বে ১৮ লাখ মানুষ মারা গেছে। প্রায় আট কোটি লোক আক্রান্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি লোক মারা যাচ্ছে। ইউরোপে প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাতশ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এ অবস্থায় আমাদের দেশের অবস্থা ভালো আছে। আমাদের এখানে মৃত্যু ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে থাকছে। সংক্রমণের হারও যে খুব বেড়ে গেছে, তা কিন্তু নয়। ওটা স্থিতিশীল আছে। মৃত্যুর সংখ্যাও স্ট্যাটিক আছে। আমরা চাই এটা না বাড়ুক। এ জন্য আপনাদের সবার সহযোগিতা দরকার।

যারা দেরি করে চিকিৎসা নিতে এসেছে, তাদের মৃত্যুর ঘটনা বেশি বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, চিকিৎসা নয়, প্রতিরোধও জরুরি। এজন্য আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ স্লোগানটা আমারই দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী সেটি সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি সারাদেশের হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে কথা বলেছি কয়েকদিন আগে। সবাই বলেছে রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। নভেম্বরে যা ছিল তা থেকে কমে আসছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমি লক্ষ করেছি, যারা দেরি করে চিকিৎসা নিতে এসেছেন সেখানেই ক্যাজুয়ালটি বেশি হয়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক যারা ঘরে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাদেরই অবস্থা খারাপ হয়েছে। ৫০-৬০ বছরের ঊর্ধ্বে যারা, ৮৫ শতাংশ তাদেরই মৃত্যু হয়েছে। এখানে একটু নজর দিলে আমি আশা করি মৃত্যুর হার কমে যাবে। প্রচার-প্রচারণার কারণে সংক্রমণের হার এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও এখন খেলাধুলা চলছে, বিয়েশাদি বেড়ে গেছে, পিকনিকে যাচ্ছে, কক্সবাজার যাচ্ছে— এসব কারণেও সংক্রমণ হচ্ছে।

সভায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দেশের প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের অধীন চিকিৎসা সেবাকেন্দ্রগুলো ৫ জুন থেকে থেকে যেভাবে মানুষকে সেবা দিয়ে গেছেন, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান। তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি কোভিড মোকাবিলায় তার সাহসী উদ্যোগগুলোর জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তার জন্য ধন্যবাদ জানান ত্রাণমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও আনোয়ার খান মেডিক্যালের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম। এ সময় দেশের ৭০টি প্রাইভেট মেডিক্যালের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন