বিজ্ঞাপন

ভারতে মুখোমুখি ২ করোনা টিকা উৎপাদক

January 5, 2021 | 6:29 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য অনুমোদন পেয়েছে দুই করোনা টিকা। তাদের একটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনা টিকা যা স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করছে সিরাম ইনস্টিটিউট এবং অন্য আরেকটির উৎপাদক ভারত বায়োটেক।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, এখনও করোনা টিকা প্রয়োগ শুরু না হলেও, টিকার কার্যকারিতা নিয়ে দুই উৎপাদক মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছে জার্মানিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

এর মধ্যেই, দুই উৎপাদক সংস্থার প্রধান কর্তা কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন। শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি এবং একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের বন্যা। সিরামের প্রধান আদর পুনাওয়ালা যেমন ভারত বায়োটেকের টিকার কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তেমনি, ভারত বায়োটেকের কর্তা কৃষ্ণ এম এল্লার অক্সফোর্ডের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন।

তবে, এ ধারার শুরু করেছেন আদর পুনাওয়ালা। তিনি ভারত বায়োটেকের নাম না করে বলেছিলেন, বায়োএনটেক, মডার্না ও অক্সফোর্ডের টিকার কার্যকারিতা প্রমাণিত। বাকি সব টিকাই জলের মতো নিরাপদ। তিনি যখন এই কথা বলছেন, তখন ভারত বায়োটেকের টিকা ড্রাগ কন্ট্রোলারের অনুমোদন পেয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ফলে, আক্রমণ কোন দিকে তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

এরপরই, গর্জে উঠেছেন হায়দরাবাদভিত্তিক ভারত বায়োটকের প্রধান। কৃষ্ণ এম এল্লারের দাবি, তাদের টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মাত্র ১৫ শতাংশ। আর অক্সফোর্ডের টিকা যা সিরাম উৎপাদন করছে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ৬০ শতাংশ। যাদের টিকা দেওয়া হয়েছে, তাদের চার গ্রাম প্যারাসিটামলও দেওয়া হয়েছে। তারপরেও এই অবস্থা। এখানেই থামেননি তিনি। রীতিমতো আবেগতাড়িত হয়ে কৃষ্ণা বলেছেন, তারা বিজ্ঞানী। তারা ২৪ ঘণ্টা কাজ করেন। তারপর কেন তাদের এই ধরনের আক্রমণ সহ্য করতে হবে?

তার দাবি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো পরীক্ষা যদি ভারতে করা হতো, ভারতীয় রেগুলেটার তাহলে কোম্পানি বন্ধ করে দিত। আসলে অক্সফোর্ডের টিকা পরীক্ষার সময় অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছিল। একটা গ্রুপকে প্রথমে অর্ধেক ডোজ এবং পরে পুরো ডোজ দেওয়া হয়। কৃষ্ণার কটাক্ষ সেদিকেই। তার দাবি, ভারত বায়োটেকের টিকা ২৫ হাজার ভারতীয়ের ওপর পরীক্ষা করা হচ্ছে। আর কোনো ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের এই রেকর্ড নেই।

বিজ্ঞাপন

কৃষ্ণার অভিযোগ, অক্সফোর্ডের টিকা প্রথম বছরে দুই বার দেওয়ার পর দ্বিতীয় বছরে আর দেওয়া যাবে না। কিন্তু, তাদের টিকা যতবার দরকার হবে ততবারই দেওয়া যাবে।

সিরাম প্রধান আদর পুনাওয়ালা অবশ্য এই সব অভিযোগের কোনো জবাব দেননি। তবে প্রশ্ন উঠেছে, কেন দুই টিকা উৎপাদক সংস্থা এই ভাবে একে অপরকে আক্রমণ করলেন?

এ ব্যাপারে ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, দুই সংস্থার লক্ষ্য হলো ভারত তো বটেই, অন্য দেশের বাজার দখল করা। তাই নিজেদের টিকা কতটা ভালো তা তারা বেশি করে দেখাতে চাইছেন। আর ভারত বায়োটেক নিয়ে যেহেতু বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, তাই তাদের ওপর চাপ আরো বেশি ছিল। সে জন্যই এই আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একেএম

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন