বিজ্ঞাপন

নেপালের চিকিৎসকরা দারুণ কাজ করেছেন!

March 18, 2018 | 11:19 am

।। জাকিয়া আহমেদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে আহত যাত্রীদের চিকিৎসায় নেপালের ডাক্তারদের প্রশংসা করে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. হোসাইন ইমাম বলেছেন, ‘নেপালের চিকিৎসকদের কোনো ঘাটতি ছিল না। তারা আন্তরিকতা নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছে তাতে আমরা মুগ্ধ। কেবল চিকিৎসক নয় হাসপাতালের প্রতিটি মানুষ আন্তরিকতা দেখিয়েছেন, সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন আহতদের পাশে দাঁড়াতে। এত ভালো চিকিৎসা দিয়েছে যে, আমরা ইমপ্রেসড।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. হোসাইন ইমাম বর্তমানে নেপালে অবস্থান করছেন, তিনি বাংলাদেশ থেকে নেপাল যাওয়া মেডিকেল টিমের সদস্য।

গত বৃহস্পতিবার সাত সদস্যের মেডিকেল টিমটি নেপাল যায়।

বিজ্ঞাপন

নেপাল থেকে ডা. হোসাইন ইমাম সারাবাংলাকে বলেন, আমরা নেপাল আসার পর সব রোগীকে দেখেছি। নেপালের চিকিৎসাসেবা দেখেছি, কথা বলেছি চিকিৎসকদের সঙ্গে।

নেপালের হাসপাতালের সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যে থেকেও এখানকার চিকিৎসকদের চিকিৎসাসেবাকে ‘ট্রিমেন্ডাস’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ‘ট্রিমেন্ডাস এফোর্ট’ দিয়েছেন বলেই আমরা সবাই মনে করছি। তাদের অনেক টেকনোলজি নেই, কিন্তু তারা প্রচণ্ড দক্ষতা  এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে এ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজ থেকে আহত হয়ে হাসপাতালে আসার পর কারও অবস্থা কিন্তু খারাপ হয়নি। যখন যেটা করা দরকার, তখন সেটা করেছেন। সবাই মোটামুটি স্থিতিশীল অবস্থাতেই রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সাতজনের এ চিকিৎসক দলটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ কাজ করছেন ফরেনসিক বিষয় নিয়ে। বাকিরা কাজ করছেন যার যা কাজ সেভাবেই।

তবে রোগীদের মধ্যে আহত ইয়াকুব আলী ও ইমরানা কবীর হাসির শারীরিক অবস্থা একটু জটিল। হাসির ত্রিশ শতাংশ ‘ডিপ বার্ন’ রয়েছে, মুখ পুড়ে গেছে। ইমরানার বাবা হুমায়ুন কবীর গত পরশু নেপাল এসেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা ইয়াকুব আলী মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাকে দিল্লীর অ্যাপোলো হাসপাতালে পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে।

১৯ মার্চ এই চিকিৎসক দল দেশে ফিরবেন বলে আশা করছেন তারা। কথা শেষ হবার আগে বারবার ডা. হোসাইন ইমাম বলেন, নেপালের চিকিৎসকরা যা করেছেন তাতে আমরা প্রচণ্ড খুশি, এখানে কোনো ঘাটতি ছিল না।

গত ১২ মার্চ ইউএস বাংলার ড্যাশ ৮- কিউ ৪০০ উড়োজাহাজটি নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আরও রয়েছে নেপালের ২১, চীন ও মালদ্বীপের একজন করে নাগরিক।

বিজ্ঞাপন

এদিকে দুর্ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচ জন নেপালের হাসপাতাল ছেড়েছেন। তাদের মধ্যে রেজওয়ানুলকে কাঠমান্ডুর ওএম হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। আর শাহরিন আহমেদ, রুবায়েত, মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও মেহেদীর ভাবি আলমুন নাহার অ্যানিকে দেশে আনা হয়েছে। এদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

আর দীর্ঘ অপেক্ষার পর আজ ২৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। শনাক্ত হওয়া মরদেহের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের ১৪ জন ও নেপালের ১০ জন, চীনের একজন।

সারাবাংলা/জেএ/একে

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন