বিজ্ঞাপন

ক্ষতিকর উপাদানে তৈরি বিপাশা কসমেটিকস, কারখানা সিলগালা

January 18, 2021 | 7:15 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আকর্ষণীয় মোড়কে বাজারজাত করলেও মানহীন ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে কসমেটিকস তৈরি করায় পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার ‘বিপাশা কসমেটিকস এন্টারপ্রাইজে’র কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে। একইসঙ্গে কারখানার মালিক ও এক কারিগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

র‌্যাব জানিয়েছে, এসব কসমেটিকস তৈরিতে মোমজাতীয় ও আটা-ময়দা সাদৃশ কিছু উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, তার প্রায় সবই লেবেলবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ। কোনো ধরনের অনুমোদন না থাকলেও এর প্যাকেটে রয়েছে বিএসটিআইয়ের সিল। ফলে ক্রেতারা আসল-নকল বুঝতে না পেরেই ক্রেতারা দেদারসে এসব কসমেটিকস কিনছেন।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর চকবাজারের ১২ নম্বর হায়দার আলী বক্স লেন এলাকায় ‘বিপাশা কসমেটিক এন্টারপ্রাইজ’ নামের এই কারখানায় অভিযান চালান র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান পরিচালনা করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

বিজ্ঞাপন

অভিযানে বিপুল পরিমাণ নকল কসমেটিকস ও কসমেটিকস তৈরির উপাদান করেছে র‍্যাব। সেই সঙ্গে নকল কসমেটিকস তৈরিতে জড়িত কারখানার মালিক মো. নাছের (৪৯) ও কারিগর মো. আনোয়ার শেখকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।

অভিযান শেষে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, গোপন সূত্রে জানতে পারি— চকবাজারের একটি কারখানায় অনুমোদন ছাড়াই কসমেটিকস উৎপাদন চলছে। এসব কসমেটিকস উৎপাদনে ন্যূনতম কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা ল্যাব টেস্টের বালাই নেই। তাছাড়া তাদের কোনো কেমিস্টও নেই। তারা গরম পানিতে কিছু কেমিকেল মিশিয়ে কসমেটিকসের নাম করে মোড়কজাত করে বাজারে বিক্রি করছে।

বিজ্ঞাপন

পলাশ কুমার বসু সারাবাংলাকে বলেন, কসমেটিকস তৈরিতে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে মোমজাতীয় কিছু উপাদান। এর বাইরে তারা কেমিকেল হিসেবে যা কিছু ব্যবহার করছে, তার প্রায় কোনোটিরই প্যাকেটের গায়ে লেবেল নেই এবং এর কিছু কিছু মেয়াদোত্তীর্ণ। বিউয়েক্স, বিথ্রি নামে দুয়েকটি কেমিকেলের নাম তারা বলতে পেরেছে। কিন্তু এসব কেমিকেলের কোনটির কী ব্যবহার, তার কিছুই বলতে পারেনি। আসলে বেশিরভাগ কেমিকেলই খালি পলিথিনে রাখা। গরম পানিতে এগুলো মিশিয়ে তারা মোড়কজাত করত।

র‌্যাবের এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এই কারখানার বিএসটিআইয়ের কোনো অনুমোদন নেই। পরিবেশ অধিদফতরেরও কোনো ছাড়পত্র নেই। প্রাথমিকভাবে যেসব কসমেটিকস জব্দ করা হয়েছে, সেগুলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চর্মরোগসহ নানা রোগ, এমনকি ত্বকের ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে এসব কসমেটিকস ব্যবহারে। তাই এসব অপরাধে জড়িত মালিক পক্ষের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

অনুমোদন ছাড়া কিভাবে কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছিল— এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসটিআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, তাদের আগে অনুমোদন ছিল। বছরখানেক আগে তা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। কিন্তু পরে আর নবায়ন করেনি। আগের অনুমোদনের সুযোগ নিয়ে তারা এমন কাজ করছে। তাই আজকের এ অভিযান পরিচালনায় র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে আমরাও সহযোগিতায় কাজ করছি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন