বিজ্ঞাপন

লাওস লক্ষ্যে প্রস্তুত বাংলাদেশ

March 18, 2018 | 7:10 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: বিকেএসপি আর কাতারে বিশেষ ক্যাম্প শেষে দেশে ফিরেছে দল। ক্যাম্পে মামুনুল-জামাল ভূঁইয়াদের ডেডিকেশনে সন্তুষ্ট কোচও। ঢাকা আবাহনীর খেলোয়াড়রা যোগ দিয়েছেন ক্যাম্পে। চূড়ান্ত খেলোয়াড়দের নিয়ে দল রোববার উড়াল দিবে থাইল্যান্ড। তারপরেই বহুল প্রতিক্ষীত লাওস ম্যাচ।

বিজ্ঞাপন

সবমিলে ‘অল সেট’ বাংলাদেশ জাতীয় দল। কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ড জানালেন, ‘যতদূর সম্ভব ভালো একটা প্রস্তুতি হয়েছে। তরুণদের নিয়ে বিকেএসপিতে কাজ করেছি। কাতারে অন্য লেভেলে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সবাই অনেক উন্নতি করেছে। আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট তাদের ডেডিকেশনে। আমরা সবাই মিলে যত বেশি হার্ড ওয়ার্ক করা যায় করেছি।’

কাতার ক্যাম্পে যে বিশেষ ক্যাম্পটা পেয়েছে মামুনুলরা তারও একটা বিবরণ এসেছে কোচ ও খেলোয়াড় ফয়সাল মাহমুদের কাছ থেকেও। খেলোয়াড়দের ফিটনেস লেভেল বাড়াতে সবচেয়ে বেশি নাকি খাবারের অভ্যাস পরিবর্তনে মনযোগী ছিলেন সবাই। ফয়সাল জানান, ‘এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়েছে, এর আগে আমরা জানছি, প্রাকটিসের মাধ্যমে আমাদের ফিটনেসটা ঠিক রাখতে হবে। কিন্তু কোচিং স্টাফ একেবারে ভিন্ন একটা ফুড হেবিট চেঞ্জ করার চেষ্টা করেছেন। আমাদের প্লেয়াররাও অনেক হার্ড ওয়ার্ক করছে এটার জন্য। ফুডিং হ্যাভিট ও প্রাকটিসের মাধ্যমে ফিটনেস লেভেলটা ডেভেলপ করার চেষ্টা করছে।’

এর সঙ্গে যোগ করলেন মাঠে নামার কৌশল নিয়েও, ‘আরেকটা জিনিস, এর আগে দেখা গেছে বিগত আন্তর্জাতিক ম্যাচে আমরা বেশি গোল রিসিভ করছি সেট পিস থেকে। কিন্তু সেট পিসের উপরে খুব বেশি জোর দেয়া হয়েছে। কাজ করা হয়েছে। আরেকটা জিনিস, ডিফেন্ডিং কমপেক্টনেস। আমরা অপনেন্টের পায়ে বল থাকবে আমরা কেমন ডিফেন্ড করবো, আমাদের স্যাভ কেমন থাকবে এটার উপরেও জোর দেয়া হইছে। যখন আমাদের পায়ে বল থাকবে আমরা কিভাবে স্প্রেড আউট হবো, কিভাবে অ্যাটাকিং মুডে যাবো সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি।’

বিজ্ঞাপন

ক্যাম্প শেষে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরও ৮ খেলোয়াড়। সবমিলে দলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে মাঠে নামবে এমনটাই প্রত্যাশা কোচের, তারা অভ্যস্ত হয়েছে প্রায়। এখন আবাহনীর খেলোয়াড়রা দলে যোগ দিয়েছে। তারা দলকে আরও সমৃদ্ধ করবে। ভালো মানের কিছু খেলোয়াড় আছে। তাদের ভিন্ন খেলার স্টাইল আছে। টেকটিক্স আছে। তাই চ্যালেঞ্জটা হবে তাদের সবাইকে একই লেভেলে নেয়া। থাইল্যান্ডে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে।

সাফ ও এশিয়ান গেমসকে লক্ষ্য রেখে দল গোছানোর কাজ শুরু হলেও কোচের লক্ষ্য আপাতত লাওস ম্যাচ, ‘আমরা সাফ নিয়ে আপাতত ফোকাস করছি না। আমরা লাওস ম্যাচ নিয়ে আগাচ্ছি। আমরা লাওসে ভালো করলে সবাই সামনের জন্য আত্মবিশ্বাস যোগাবে। সামনে যাবে। আমি যাদের দলে নিয়ে তারা বেস্ট আর তাদের কাছে বেস্টটাই চেয়েছি। একটা ফ্যাক্ট হলো-বাংলাদেশ এর আগে এতো ভালো কোচিং স্টাফের অভিজ্ঞতা পায় নি। আশা করছি সবাই ভালো করারই চেষ্টা করছে। তার মানে এই নয় যে, একদিনেই সব চেঞ্জ হয়ে যাবে। আমাদের বেস্ট পিপলটা আছে। বেস্ট স্টাফ আছে। রেজাল্টও আসবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ম্যাচের বাইরে। লাওস চার সপ্তাহ ধরে ম্যাচ খেলছে। তাদের সব খেলোয়াড় নব্বই মিনিট নব্বই মিনিট খেলছে।

ফয়সাল বাতলে দিলেন কিভাবে এগোবেন, ‘নব্বই মিনিটে আমরা যদি গোল না খাই তাহলে আমরা একটা দুটা গোল করতে পারবো। এই অর্থে বলছি যে। সিলি মিস্টেকে আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচে হেরে আসছি। খেলার শুরুতে গোল খেয়ে আসতেছি। পরে ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়ে যায়।‘

বিজ্ঞাপন

১৪ দিনের কাতারের বিশেষ ক্যাম্প শেষে গত বৃহস্পতিবার ফিরেছেন ফুটবলাররা। এর আগে দেশটির পাঁচতারা হোটেল এম দোহায় থেকেছেনন। হোটেলের পাশে ওয়াকরা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন পরের দিন থেকে।
২৩ জনের একটি দল করে ক্যাম্পে রাখা হবে সাফ ও এশিয়ান গেমসের জন্য প্রস্তুত করতে। এই দলটিই প্রতিনিধিত্ব করবে।

আগামীকাল (সোমবার) থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দিবে এই দল দল থাইল্যান্ডে যাবে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে। বিপক্ষ দল চূড়ান্ত হয়েছে। দুটি দলই থাইল্যান্ডের পেশাদার লিগে খেলে। ২১ তারিখে রাচাবুড়ি ফল এফসি ও ২৩ মার্চ ব্যাংকক গ্লাস এফসির বিপক্ষে তাদের নিজেদের ভেন্যুতেই খেলতে নামবে ওর্ডের শিষ্যরা।

এরপর ২৫ মার্চ লাওসের উদ্দেশে রওনা দিবে দল। ২৭ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ মাস পরে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
তারপরেই এশিয়ান গেমস আর সাফ আছে। দীর্ঘ প্রক্রিয়াই হোক। তবে সেখান থেকে ফুটবলের উন্নতিটাই কাম্য সবার।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন