বিজ্ঞাপন

বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সক্ষম: বাণিজ্যমন্ত্রী

March 18, 2018 | 7:14 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবার পর যে সব বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ সক্ষম। অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ বর্তমান অবস্থানে এসেছে।

রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জণ করা প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পকে বাধাগ্রস্থ করার চক্রান্ত হয়েছিল। এ শিল্পের অগ্রযাত্রা বাধা গ্রস্থ করতে শিশু শ্রম বন্ধ এবং রপ্তানি ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বাতিল করে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জেরে মুখে ফেলে দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাঙ্গালী বীরের জাতি, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে জানে। উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবার পর যে সব বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে, সেগুলো মোকাবেলা করতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের দেয়া জিএসপি সুবিধা জিএসপি প্লাস নামে পাওয়া যাবে। যে সব দেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদান করবে না, সে সব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করা হবে। এতে করে রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না। ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ আরও বেশি বিশ্ব বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জন করবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির পিতার জন্ম দিনে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণের সংবাদ বাঙ্গালী জাতির জন্য গৌরব ও মর্যাদার। এক সময় যারা বলেছিল- বাংলাদেশ হলো তলাবিহীন ঝুড়ি, বিশ্বের দরিদ্র দেশের মডেল হবে বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে  উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এখন বড় বড় প্রকল্প নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন মর্যাদার আসনে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধ শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি খাত হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশ ট্রিপস চুক্তির আওতায় শর্ত শিথিল করে ২০৩৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত উন্নত বিশ্বে ওষুধ রপ্তানির সুযোগ পাবার কথা। স্বাভাবিক ভাবেই ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। বাকী সময় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এ সুবিধা ভোগ করবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর বিশ্ববাসীর আস্থা অনেক বৃদ্ধি পাবে, দেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। বিশ্ববাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পেপারলেস ট্রেডের জন্য বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সারাবাংলা/জিএস/এমএস

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন