বিজ্ঞাপন

প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ঢুকতে না পেরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘হামলা’

January 20, 2021 | 6:26 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ চলাকালে মেয়র প্রার্থী শাহাদাতের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি স্কুলে ঢুকে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ অভিযোগটি তদন্তে নেমেছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর আকবর শাহ থানার পাহাড়তলী স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ফজলুল করিম। পরে তিনি আকবর শাহ থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পাহাড়তলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে দিয়ে গণসংযোগে যাচ্ছিলেন। স্কুলটিতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ চলছিল। কলেজের অধ্যক্ষ অভিযোগ করেছেন, পায়ে হেঁটে যাবার সময় শাহাদাত সাহেবের উপস্থিতিতে নেতাকর্মীরা বন্ধ থাকা গেট ধাক্কা দিয়ে খুলে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করেন। তিনিসহ কয়েকজন শিক্ষক যারা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে প্রশিক্ষণরত ছিলেন, তারা এসে বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এমনকি অধ্যক্ষকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আমরা অভিযোগটি তদন্ত করে দেখছি। অবশ্যই আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিম সারাবাংলাকে জানান, প্রিজাইডিং সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ চলছিল। মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে শ’ খানেক নেতাকর্মী স্লোগান দিতে দিতে স্কুলের সামনে এসে গেট খুলে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। বিষয়টি দেখে অধ্যক্ষ এবং কয়েকজন শিক্ষক গিয়ে তাদের বাধা দেন। তখন শাহাদাতের সঙ্গে থাকা লোকজন উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে গেট খুলে ভেতরে ঢুকে তারা অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের মারধর করেন।

বিজ্ঞাপন

‘যেহেতু প্রশিক্ষণ চলছে, আমি তো বগিরাগত কাউকে ঢুকতে দিতে পারি না। উনাদের সেটা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু উনারা কোনো কথাই শুনতে রাজি নন। প্রথমে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। গেট ঠেলে ভেতরে ঢুকে আমাকে কলার ধরে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। কয়েকজন শিক্ষক যখন বাধা দেন তাদের গায়ে হাত তোলেন’—বলেন ফজলুল করিম।

শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনার সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে।’

মারধরের শিকার শিক্ষকরাও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ফজলুল করিম।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বশির আহমেদ বলেন, ‘এটা কেন্দ্রের বাইরে গেটের সামনে হয়েছে। পরে অধ্যক্ষ এসে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে চেষ্টা করেও গণসংযোগে ব্যস্ত থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে শাহাদাতের ব্যক্তিগত সহকারী মারুফ আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। এ ধরনের কোনো ঘটনায় হয়নি।’

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন