বিজ্ঞাপন

ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাস

January 24, 2021 | 10:05 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমান শ্রেণির ফল পরীক্ষা ছাড়াই প্রকাশ করতে আইন সংশোধন করে জাতীয় সংসদে বিল পাস করা হয়েছে। রোববার (২৪ জানুয়ারি) সংসদের অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১ পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এর মধ্য দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে পরীক্ষা গ্রহণের বাধ্যবাধকতা দূর হল। এখন বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে ফলাফল প্রকাশ করা যাবে। এখন যেকোনো দিন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পৃথক তিনটি বিলে যা আছে- ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২১ ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিন্যান্সে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করার বিধান রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৬১ সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অতিমারি, মহামারি ও দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় নির্ধারিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে পরীক্ষাগ্রহণ ব্যতীত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও সনদ প্রদান করা যাবে।

বিলের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিন্যান্স-১৯৬১ সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২০-এর খসড়া প্রস্তুত করে মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে ১১ জানুয়ারি তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক খসড়া আকারে প্রকাশ করে।

এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২০ (২০২০ সালের ২৭ নং আইন) ধারা ৯ এর (ঙ) উপধারায় মাদরাসা শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করার বিধান রয়ছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশে মাদরাসা স্তরে পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বর্ণিত পেক্ষাপটে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইন ২০২০ সালের ২৭ নং সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বিশেষ পরিস্থিতিতে অতিমারি, মহামারি, দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় নির্ধারিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষাগ্রহণ ফল প্রকাশ এবং সনদ প্রদান করা সম্ভব না হলে সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা গ্রহণ ব্যতীত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের পরীক্ষা গ্রহণ করে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশনাবলি জারি করার বিষয় উল্লেখ রয়েছে। যা কমিটি চূড়ান্ত বলে গণ্য করেছে। একইভাবে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংশোধন বিল-২০২১ সংশোধন করা হয়েছে।

এর আগে ১৯ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী উপস্থাপিত এই বিল একদিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

সংসদে বিলটি উপস্থাপনের সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আমাদের প্রস্তুত রয়েছে। বিদ্যমান আইনে যেহেতু রয়েছে পরীক্ষা পূর্বক ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে আমরা এবার পরীক্ষা নিতে পারিনি। বিশেষ পদ্ধতিতে ফলাফল দিতে চাচ্ছি। এজন্য আইনটি সংশোধন প্রয়োজন। মহান সংসদ থেকে আইনটি পাস করে দিলেই দ্রুততার সঙ্গে আমরা ফলাফল প্রকাশ করতে পারব।’

বিজ্ঞাপন

বিলটির ওপর জনমত যাচাই বাছাইয়ের এবং সংশোধনী প্রস্তাব দেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। জনমত যাচাই বাছাইয়ের আলোচনায় তারা অটো পাসের সমালোচনা করেন। সরকার চেষ্টা করলে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হতো বলেও তারা মত দেন। পরে বিলটি ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন