বিজ্ঞাপন

সরকারের কেনা ৫০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেশে

January 25, 2021 | 11:33 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ৫০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০ টা ৫৮ মিনিটে ভ্যাকসিন বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিজ্ঞাপন

এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইট ভ্যাকসিনের চালান নিয়ে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে দুপুর একটায় গাজীপুরের টঙ্গীতে বেক্সিমকো ফার্মার নিজস্ব ওয়্যারহাউজে সেগুলো রাখা হয়।

এই ভ্যাকসিন আনা হয়েছে বাংলাদেশে সিরাম ইনস্টিটিউটের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে। বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছয়টি ফ্রিজার ভ্যানে করে বিমানবন্দর থেকে ভ্যাকসিনের বাক্সগুলো নিয়ে যাওয়া হবে টঙ্গীতে বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে।’

তিনি বলেন, ‘সিরাম ইনস্টিটিউট আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ২১ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসবে। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাঠানো ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আমরা আজ গ্রহণ করলাম। এটাকে আমরা এখন নিয়ে যাব টঙ্গীতে আমাদের কোল্ড চেইন মেনটেইন করা আমাদের নতুন ওয়্যারহাউজে। সেখানে রাখা হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘ওয়্যারহাউজ থেকে প্রতিটি ব্যাচের ভ্যাকসিনের নমুনা পাঠানো হবে সরকারের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে। পরীক্ষার পর সবকিছু ঠিক থাকলে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। ছাড়পত্র পাওয়ার পর টিকাগুলো ৬৪টি জেলায় পৌঁছে দেবে।’

নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পর সরকার যেখানে পাঠাতে বলবেন সেখানে পাঠিযে দেওয়া হবে। আমার ধারণা ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ওনারা যেখানে পৌঁছে দিতে বলেছেন আমরা সেখানে পৌঁছে দিতে পারব।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন বহনকারী প্রতিটি কার্টনে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস রাখা হয়েছে। এই ডিভাইস প্রতি পনের মিনিট পর পর সিরাম ইনস্টিটিউটে হালনাগাদ তথ্য পাঠাচ্ছে।’

ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার আগ পর্যন্ত সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতির দায় বেক্সিমকো নেবে জানিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘এই ডিভাইস প্রতি পনের মিনিট পর পর কোল্ডচেইন বিষয়ক আপডেট দিচ্ছে। আমরা প্রমাণ করব যে পুনে থেকে মুম্বাই, সেখান থেকে ঢাকা হয়ে আমাদের ওয়্যার হাউজ এবং সেখান থেকে জেলা পর্যায়ে পৌঁছুতে কোথাও কোনো কোল্ড চেইন ব্রেক হয়নি। যদি কোনো ড্যামেজ, শর্টেজ বা কোনো রকমের সমস্যা থাকে তাহলে আমরা তা চেঞ্জ করে দেব। ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্ত রকমের দায়িত্ব বেক্সিমকোর।’

তিনি বলেন, ‘ওয়্যারহাউজে গেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা ভ্যাকসিনের কার্টনগুলো প্রথম দেখবেন। এরপর প্রত্যেকটি কার্টন খোলা হবে। সেখানে টেম্পারেচার মনিটরিং ডিভাইস দেওয়া আছে প্রতিটি কার্টনের ভেতরে।’

এ দিন ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে বেক্সিমকোর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিমানবন্দরে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী এই ভ্যাকসিন এলো দেশে। সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে তিন কোটি ভ্যাকসিন পাবে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন ভারতে উৎপাদন করছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।

এর আগে, রোববার (২৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ইতোমধ্যেই উপহার হিসেবে ভারত সরকার ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে বাংলাদেশে। ২৫ জানুয়ারি চুক্তি অনুযায়ী আরও ৫০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে আসবে। এই ৭০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে রাখা ও বিতরণের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাঠানো ২০ লাখ চার হাজার ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পৌঁছায়। তেজগাঁওয়ে জেলা ইপিআই স্টোরে এসব ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা আছে।

আরও পড়ুন: সরকারের কেনা ৫০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন আসছে আজ

সারাবাংলা/এসবি/এসজে/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন