বিজ্ঞাপন

সৌম্য পেরেছেন, সৌম্য পারেননি

March 19, 2018 | 10:01 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

বিস্ফোরিত চোখে দেখলে, একস্ট্রা কাভারের ওপর দিয়ে বলটা যাচ্ছে সীমানার বাইরে। দুই হাত দিয়ে মাথা ঢেকে মাটিতে বসে পড়লেন। খানিক পর সাকিব এসে আলিঙ্গন করলেন তাঁকে, মুশফিকও এসে সান্ত্বনা দিলেন। কিন্তু বুকের ভেতর থেকে দমকে উঠে আসা কান্না কি বাঁধ মানতে চায়? সৌম্য সরকার তাই পারেননি আবেগ সামলাতে, শেষ বলে ছক্কাতেই যে ওলট পালট হয়ে গেল সবকিছু! পরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন তাঁর।

ম্যাচ শেষের খানিক পরেই নিজের ফেসবুক পেজে সৌম্য সরকার হতাশায় নুয়ে পড়ার একটা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন দুঃখিত। তবে পরের লাইনে শোনালেন হাল না ছাড়ার প্রত্যয়, ‘পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। পরের বার আশা করি ভালোমতোই ফিরব।’

সৌম্য যা করেছেন, তাতে ওই সময় তাঁর কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আর চাইতে পারতেন না অধিনায়ক। মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম ওভারে এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় তাঁকে দিয়ে আর বল করারই সাহস পাননি সাকিব। সেই তিন ওভারটা পূরণ করার জন্য সাকিব বেছে নিলেন সৌম্যকেই। আগের দিন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচটা খারাপ করেননি, আজ ১৫তম ওভারটাও করেছিলেন দারুণ। ১১ রান দ্দিলেও সাকিব ভরসা রেখেছিলেন তাঁর ওপর।

বিজ্ঞাপন

পরের বার যখন বল করতে এলেন, ভারতের ৪ ওভারে দরকার ৪৪ রান। সৌম্য এবারও দুর্দান্ত বল করলেন, একটা চার খেলেও দিলেন মাত্র ৯। শেষ ওভারের জন্য তাঁর ওপরেই আস্থা রাখলেন সাকিব।

প্রথম বলটা ওয়াইড হওয়ার পর পরের তিন বলে হলো মাত্র দুই রান। সৌম্য তখন যেন আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেছেন। বিজয় শঙ্কর এর পরের বলে চার মারলেন, তবে সেটাও দুর্দান্ত করেছিলেন সৌম্য। পঞ্চম বলে যখন ক্যাচ তুলে দিলেন, বাংলাদেশ পাচ্ছিল জয়ের সুবাস। শেষ বলটাও ওয়াইডিশ ইয়র্কার লেংথে করতে গিয়েছিলেন সৌম্য, কিন্তু দীনেশ কার্তিক লেংথটা ধরে ফেললেন আগেই। এক ছয়েই ভেঙে দিলেন কোটি মানুষের হৃদয়।

কিন্তু শেষ বলের আগে সাকিব কী বলেছিলেন সৌম্যকে? পরে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক শুধু বলেছেন, ‘আমি কোনো কথা বলিনি, ওর ওপরেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। এ সময়ে আমি মনে করি, বলারকে কিছু না বলাই ভালো। আমি শুধু বলেছি একটু সময় নিতে। তাড়াহুড়ো করলে যেটা দরকার সেটা তো সে করতে পারবে না।’

বিজ্ঞাপন

তবে সাকিব যা বললেন, সেটা সৌম্যের জন্য প্রেরণাই হয়ে থাকবে, ‘আজকে দিনে ওর যে তিন ওভার ওটা চার বা পাঁচ ওভারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ও যে বোলিংটা করেছে। ও এবং মোস্তাফিজের স্পেলটাই আমাদের কাম ব্যাক করাতে সাহায্য করেছে।’

পরের বার নিশ্চয় হয়তো দুঃখিত লিখতে হবে না সৌম্যকে!

 

সারাবাংলা/ এএম/ এসএন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন