বিজ্ঞাপন

এনআইডি ছাড়া ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না: সিএমপি কমিশনার

January 26, 2021 | 7:15 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বহিরাগত ঠেকাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়া কাউকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। তবে বয়স্কদের জন্য এ সিদ্ধান্ত শিথিল থাকবে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সার্বিক প্রস্তুতির বিষয় জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যাদের সঙ্গে ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকবে তাদের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ অবশ্যই আনন্দমুখর হবে। যারা ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসবে না তাদের জন্য বা বহিরাগতদের জন্য দরজা বন্ধ। বাইরে থেকে কেউ এসে নির্বাচনকে যেন প্রভাবিত করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’

নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোট কেন্দ্রে এনআইডি নিয়ে আসা বাধ্যতামূলক নয়। সিএমপির এই সিদ্ধান্তে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বহিরাগত ঠেকানোর একটা পথ হচ্ছে এনআইডি কার্ড। একজন ভোটারকে শনাক্ত করা যাবে তার এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে। এনআইডি কার্ড যার কাছে থাকবে তিনি এখানকার সম্মানিত ভোটার। তবে বয়স্ক নারী কিংবা বৃদ্ধ লোককে আমরা এ জন্য আটকাবো না। আপনারা জানেন নির্বাচনে সাধারণত কারা শক্তি প্রদর্শন করে থাকে, তাদের জন্য এ বার্তা।’

বিজ্ঞাপন

ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে ভোটের দিন কর্মস্থলে যাওয়া লোকজনকেও এনআইডি কার্ড সঙ্গে রাখার অনুরোধ করেন সিএমপি কমিশনার।

আগামী ৪৮ ঘণ্টা নগরীতে কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশ ‘অ্যালাউ’ করা হবে না জানিয়ে সিএমপি কশিনার বলেন, ‘নির্বাচনের দিন থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা কোনোরকম সমাবেশ-মিছিল আয়োজন করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে যারাই জয়ী হোক তাদেরকে কঠোর বার্তা দিতে চাই, কোনো রকমের তথাকথিত বিজয় মিছিল বা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কোনো কিছু করলে আমরা সোজা পথে তাদের দেখবো। ডানে-বামে তাকাবো না। যারাই আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হবে তাদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিএনপির এজেন্টদের গ্রেফতারের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নামের ভুলের কারণে একজনকে আটক করা হয়েছিল। তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে যাদের আটক করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো না কোন মামলা বা ওয়ারেন্ট রয়েছে। এ সংখ্যাটা খুব বেশি না। এছাড়া কারো বাসায় গিয়ে মারধর করে নিয়ে এসে কোনো গায়েবি মামলা দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এ ধরনের কোনো ঘটনা এখানে ঘটেনি। আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৮ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশের দুইটি করে টহল টিম থাকবে। প্রতিটি থানায় একটি করে স্ট্রাইকিং পুলিশ টিম থাকবে। প্রত্যেক জোনাল ডিসির আওতায় সাবকন্ট্রোল রুমে স্ট্রাইকিং ফোর্স রেখেছি। দামপাড়া ও মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনে স্ট্যান্ড বাই ফোর্স থাকবে। এর পাশাপাশি র‌্যাব থাকবে। বিজিবি-২৫ প্লাটুন নেমেছে, তারা টহল দিচ্ছে। আশা করছি উৎসবমুখর এবং নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পরিবেশে একটি চমৎকার নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।’

সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এস এম মোস্তাক আহমেদ, উপ-কমিশনার আমীর জাফর ও আব্দুল ওয়ারিশ খান, জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) শাহ মোহাম্মদ আবদুর রউফ উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন