March 19, 2018 | 2:49 pm
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আগামী ৩১ মার্চ খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হেলালউদ্দীন আহমদ।
সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের ২২ তম সভায় এই বিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভাশেষে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের পাঁচ সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে খুলনা ও গাজীপুর সিটির প্রথম সভা আগে হওয়ায় এই দুটিতে আগে নির্বাচন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আজকের বৈঠকে তফসিল ঘোষণা না করে আগামী ৩১ মার্চ ইসির কমিশন সভা শেষে দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইসি সচিব আরও বলেন, নতুন করে ৭৫টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে ১৯টির আবেদন যথাযথভাবে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাগজপত্রে জমা না দেয়ায় তাদের নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকি ৫৬টি রাজনৈতিক দলের আবেদনে প্রয়োজনীয় তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাকি তথ্যগুলো দেয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সঠিক কাগজপত্র জমা না দিলে তাদেরও নিবন্ধন দেওয়া হবে না।
দেশে ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ৪০টি দলকে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। পরে তারা সময় প্রার্থনা করায় আরও ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩৮টি দল তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। বাকি ২টি দল গণফোরাম ও নাগরিক আন্দোলন তাদের কাগজপত্র জমা দেয়নি। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য ৬ মাস সময় চেয়েছিল। কমিশন থেকে ৩ মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
তবে নাগরিক আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল আছে তারা কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেয়নি এবং সময়ও প্রার্থনা করেনি। তাই দলটির নিবন্ধন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়া হচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তারা নোটিশের জবাব না দিলে দলটির নিবন্ধনও বাতিল করা হবে।
আগামী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে নতুন রাজনৈতি দলের নিবন্ধন দেয়ার বিষয়টি চুড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সভায় ইভিএম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে ভোটারদের মধ্যে যদি আস্থা অর্জন করা যায়, তাহলে এটা পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ইসি সচিব বলেন, সভায় আইন ও বিধি সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আইন ও বিধি সংশোধন সংক্রান্ত কমিটির প্রধান কমিশনার কবিতা খানম সভায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-সহ ৭টি আইনের সংশোধনের প্রস্তাব করেছেন। আরপিও ১৯৭২ সালের আইনটি বর্তমানে ইংরেজিতে আছে এটি বাংলায় সংস্করণের জন্য প্রস্তাব এসেছে। পরবর্তী কমিশন সভায় এটি চূড়ান্ত করা হবে।
সারাবাংলা/জিএস/আইএ/এমআই