বিজ্ঞাপন

মালিঙ্গাও পারেননি, মনে করিয়ে দিলেন মুশফিক

March 19, 2018 | 3:13 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

একেকজনের যন্ত্রণাক্লিষ্ট মুখ বলে দিচ্ছিল, সারা রাত ঘুম হয়নি কারও। রুবেল হোসেনকে যেমন কথা বলার অনুরোধ করার পর ফিরিয়ে দিলেন সবিনয়ে। বাকিরাও যেন কুশল বিনিময় করলেন জোর করে। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গের পর যে ১২ ঘণ্টাও পার হয়নি তখনো! আজ শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরার পর বিমানবন্দরে মুশফিকুর রহিমই একমাত্র কথা বললেন প্রচারমাধ্যমের সাথে।

দল যেভাবে খেলেছে, তাতে প্রাপ্তির খাতায় বাংলাদেশ অনেক কিছু পেয়েছে বলেই মনে করেন মুশফিক, ‘এই কয়টা দিন আমরা যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি, ম্যাচ জিতেছি পুরো বাংলাদেশ দল কৃতিত্ব পাওয়ার যোগ্য। হোম সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে আমরা যেভাবে হেরেছিলাম শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, এরপর ওদের মাটিতে এভাবে জেতা অনেক বড় প্রাপ্তি। আপনারা যদি খেয়াল করেন, দুটি ম্যাচ আমরা জিতেছি ওই দুটি ম্যাচ খুবই ক্লোজ ছিল। ঘরের মাঠে ক্লোজ ম্যাচ দুটি আমরা জিততে পারিনি, কিন্তু ওখানে কিন্তু আমরা ওভারকাম করে জিতেছি। এটাও আমাদের নতুন প্রাপ্তি। পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজে আমরা ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট। যেটা কিনা আমরা এর আগে করতে পারিনি। এই বছর হয়তো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে করতে পারছিলাম না এই পারফরম্যান্সগুলো।’

প্রশ্ন উঠেছিল আরো। কাল অমন একটা শেষ বলের পর ভেঙে পড়া সৌম্যকে কী বলে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন? মুশফিক মনে করিয়ে দিলেন, দায়টা পুরো দলের।

বিজ্ঞাপন

‘এটাতো খারাপ লাগাই স্বাভাবিক। আমি মনে করি না, এটা শুধু একজনের জন্যই হয়েছে। আমরা বোলাররা মিলে যদি ১ কিংবা ২টা রান কম দিতে পারতাম, কিংবা আমরা ব্যাটসম্যানরা যদি আরও ১০টা রান বেশি করতে পারতাম! এটা দলীয় গেম, একজনের ব্যর্থতা মানে সবারই ব্যর্থতা। এই ম্যাচ থেকে আমাদের শিক্ষা ছাড়া অন্য কিছু নেওয়ার নেই। আমরা চেষ্টা করবো, পরবর্তী সময়ে এবারের শিক্ষাটা কাজে লাগাতে। সৌম্যর জন্য এটা প্রথমবার। পরে আবার যখন সুযোগ আসবে, আশা করি তখন এর চেয়ে আরও ভালো করবে।’

মুশফিক মনে করিয়ে দিলেন, বড় ম্যাচে এমন হতেই পারে, ‘অনেক বড় বড় বোলার এমন পরিস্থিতিতে নার্ভটা ধরে রাখতে পারে না। ওই মাঠেই কিন্তু মালিঙ্গার এক ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারলন স্যামুয়েলস ম্যাচ বের করে দলকে জিতিয়েছিল। তো আমি মনে করি এটা শিক্ষনীয় বিষয়। আমি একটাই বলবো আমাদের সুযোগ ছিল, সুযোগটা আমরা হাতছাড়া করেছি। ভারতকে হারানোর সুযোগ বার বার আসে না। শেষ দুইটা সুযোগ মিস করে ফেললাম, ইনশাল্লাহ এই যে কষ্টটা আমরা মনে রাখবো, এখান থেকে যেন আমরা আরও সামনে এগিয়ে যেতে পারি।

মুশফিক যোগ করেন, ‘মোস্তাফিজ তার শেষ ওভারে উইকেট মেডেন নেবে, এটা কেউই বিশ্বাস করেনি। ঠিক সেই রকমই রুবেলর ওভারটাতে এতো রান হবে এটা বিশ্বাস হয়নি। ক্রিকেট খেলায় এটা হয়েই যায়। এর থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

টি-টোয়েন্টিতে উন্নতি করার এখনো অনেক সুযোগ দেখছেন মুশফিক, ‘ভারতের বোলারদের ইকনোমিক যদি দেখেন, সেদিক থেকে আমরা একটু পিছিয়ে। আমরা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ওইরকম দল হয়ে উঠতে পারিনি। বাংলাদেশের হোম সিরিজ থেকে নিদাহাস ট্রফিতে খেলা পাঁচটা টি-টোয়েন্টি, এখানে আমরা খুব ধারাবাহিক ছিলাম। টি-টোয়েন্টি এটা সহজ কাজ নয়। এটা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদের অনেক সুযোগ আছে, উন্নতি করার। আমাদের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের চেষ্টা করতে হবে শেষ পর্যন্ত খেলার। দুটি ম্যাচে আমরা শেষও করেছিলাম। আমাদের বোলারদের পাওয়ার প্লের ওভারগুলোতে আমরা আরও কয়েকটা উইকেট যেন নিতে পারি। ডেথ ওভারে যেগুলোতে আমরা অনেক রান দিয়ে ফেলেছি। ওই জায়গা গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।’

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন