বিজ্ঞাপন

মেসির চুক্তিপত্র ফাঁস করেননি বার্তোমেউ

February 1, 2021 | 2:20 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

স্প্যানিশ সময় শনিবার রাতে এলমুন্ডো প্রকাশ করে বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির নথিপত্র। আর এরপরেই নড়েচড়ে বসে গোটা ফুটবল বিশ্ব। আলোচনা-সমালোচনা ঘিরে ধরে মেসি ও বার্সেলোনাকে। অনেকে তো বার্সেলোনার দেউলিয়া হতে বসার পেছনের কারণ হিসেবেও মেসিকে দুষতে থাকেন। স্প্যানিশ দৈনিকগুলো জানায় মেসি তার আইনজীবীদের নির্দেশনা দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বার্তোমেউয়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামার। তাদের ধারনা বার্তোমেউই সকল নথিপত্র ফাঁস করেছেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৭ সালে লিওনেল মেসিকে ওই চুক্তি প্রস্তাব করেছিলেন জোসেপ বার্তোমেউই। আর ২০২০ সালে এসে মেসির সঙ্গে এবং ক্লাবের দুর্দশার দায়ে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতেও বাধ্য হন বার্তোমেউ। তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছে মেসির সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট বার্তোমেউর এক নীরব দ্বন্দ্ব চলছে। এবার তাই তো ধারণা করা হচ্ছে মেসির সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই এই নতিপত্র ফাঁস করেছেন বার্তোমেউ।

পড়ুন: মেসির অবিশ্বাস্য পারিশ্রমিকই বার্সার ঋণের বোঝা

তবে না, বার্তোমেউ জানান দিলেন তিনি এসবের কিছুই জানেন না। বার্তোমেউ বলেন, ‘এটা খুবই স্পর্শকাতর একটি ব্যাপার। চুক্তিপত্র খুবই গোপনীয় একটি ব্যাপার। টিভিতে এ ব্যাপারে কথা বলা এবং একজনের দিকে অভিযোগ ছুঁড়ে দেওয়া খুবই সহজ কাজ। এভাবে চললে হয়তো আমরা এক সময় আদালতে একে অপরের সম্মুখীন হবো। মেসি যা উপার্জন করেন তার সম্পূর্ণটাই তার প্রাপ্য। করোনাভাইরাসের প্রভাব না থাকলে মেসির এই অর্থ প্রদান করা নিয়ে কোনো সমস্যায় হত না।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে বার্সেলোনার বর্তমান ঋণ প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউরো। আর সমালোচনা উঠেছে মেসির প্রায় ৭৪৫ মিলিয়ন ইউরো সমমূল্যের চুক্তিটাও এর পেছনের একটি কারণ। তবে এ ব্যাপারে লা লিগা প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের তেবাস জানান, ‘বার্সেলনার অর্থনৈতিক সমস্যার পেছনের কারণ মহামারি, মেসির উপার্জন নয়।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে লিওনেল মেসির সঙ্গে শেষবার চুক্তি বর্ধিত করে বার্সেলোনা। সেবার চুক্তি স্বাক্ষরের বোনাস হিসেবে বার্সা মেসিকে প্রদান করে ১১৫ মিলিয়ন ইউরো। আর ২০১৭/১৮ মৌসুম থেকে শুরু করে ২০২০/২১ মৌসুম পর্যন্ত প্রত্যেক মৌসুম শেষে মেসির মোট বেতন ১৩৮ মিলিয়ন ইউরো করে দাঁড়ায় মোট ৫৫২ মিলিয়ন ইউরো। চুক্তি শেষে বোনাস আরও ৭৮ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বার্সেলোনার কাছ থেকে মেসি বাগিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৭৪৫ মিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ৭ হাজার ৬শ ৫১ কোটি টাকারও বেশি।

এলমুন্ডোর প্রকাশিত সংবাদে স্পষ্টত যে, লিওনেল মেসির পেছনে এত বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার কারণেই সম্প্রতি অনেক বড় আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমও বলছে, বার্সার এতবড় আর্থিক সমস্যায় পড়ার পেছনে মেসির সঙ্গে এতবড় চুক্তিই সবচেয়ে বড় দায়ী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন