বিজ্ঞাপন

কোভ্যাক্স থেকে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন-ই পাচ্ছে বাংলাদেশ

February 4, 2021 | 11:54 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কোভ্যাক্স থেকে প্রথম পর্যায়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি ২৭ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আগামী মার্চে দেশে এসে পৌঁছতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘কোভ্যাক্স থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়টি আগেও গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে। তারা সম্প্রতি এক চিঠিতে জানিয়েছে বাংলাদেশকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এটা আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। কারণ ইতোমধ্যেই আমাদের দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন এসেছে। ফাইজার-বায়োএনটেকের যে ভ্যাকসিন সেটি সংরক্ষণের জন্য সমস্যায় পড়তে হতো। এখন যেহেতু অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আসছে সেটি ভালোই হলো। আশা করছি মার্চের দিকে এই ভ্যাকসিন আমরা পাব।’

এর আগে ১১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোভ্যাক্সের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে তারা ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন নেওয়া বিষয়ে জানতে চেয়েছিল। তাদের চিঠিতে বাংলাদেশ করোনার এই ভ্যাকসিন নিতে চাইলে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে বলা হয়েছিল। জবাবে বাংলাদেশ সরকার ওই ভ্যাকসিন নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।

বিজ্ঞাপন

তবে ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন বণ্টনের যে তালিকা কোভ্যাক্স প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, জুনের মধ্যে বাংলাদেশ ১ কোটি ২৭ লাখ ৯২ হাজার ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনই পেতে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় তালিকায়।

উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম হল কোভ্যাক্স; যা গঠিত হয়েছে বিশ্বের সব মানুষের সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক পাওয়া নিশ্চিত করতে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন