বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদপুরে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ফরেনসিক প্রতিবেদন পেলে চার্জশিট

February 7, 2021 | 9:08 am

উজ্জল জিসান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর বেসরকারি এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুরো ঘটনা সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্যও তাদের হাতে এসেছে। চার্জশিট প্রদানে এখন অপেক্ষা শুধু ফরেনসিক প্রতিবেদনের। ওই প্রতিবেদন হাতে পেলেই চার্জশিট তৈরির কাজ শুরু হবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ সারাবাংলাকে এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি রাতে নিহত ওই শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুরা রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে পার্টির আয়োজন করে। মদপানের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই শিক্ষার্থীকে তার মোহাম্মদপুরের বাসায় নিয়ে আসেন বান্ধবী নেহা মর্তুজা হায়দার চৌধুরী। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে। সেখানেই ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এরপর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে নেয় পুলিশ।

হারুন অর রশীদ বলেন, বিষাক্ত মদ পানের ফলেই মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। যেহেতু মদ আমদানি বন্ধ রয়েছে, সেহেতু ভেজাল মদ রেস্টুরেন্টগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে। তবে কারা এই ভেজাল মদ সরবরাহ করছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি নির্ভর করছে ফরেনসিক প্রতিবেদনের ওপর। চিকিৎসক বলেছেন, ধর্ষণের কোনো আলামত মেলেনি। এরপরেও ডিএনএ ও ভ্যাজাইনাল সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। এরপরও যেহেতু নিহত শিক্ষার্থীর বাবা ধর্ষণ মামলা করেছেন, তাই এ বিষয়ে আগেই মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

মদের সাথে কিছু মেশানো হয়েছিল কিনা তা জানতেও ফরেনসিক প্রতিবেদনের অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষার্থী নিহতের পর উত্তরার ব্যাম্বু শট নামে রেস্তোরায় অভিযান চালানো হয়েছে। কিছু ভেজাল মদ জব্দ করা হয়েছে। ওই রেস্তোরার চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষাক্ত মদ কেনাবেচার জন্য রেঁস্তোরাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

লাইসেন্স ছাড়া এ রকম আরও কোথাও মদ বিক্রি হচ্ছে কি না সেই খোঁজে নেমেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি গুলশান) ভাটারার খিলবাড়ির টেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল মদ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির উপ কমিশনার (গুলশান জোন) মশিউর রহমান বলেন, ভেজাল মদ তৈরির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। রাজধানীতে বেশ কিছুদিন হল তারা ভেজাল মদ সরবরাহ করে আসছিল। রাজধানীতে আরও কোনো কারখানা আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/ইউজে/এএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন