বিজ্ঞাপন

সুনামগঞ্জে ৫ শতাধিক গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত

February 9, 2021 | 12:03 pm

আল হাবিব, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সুনামগঞ্জ: সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সাত গ্রামে মাত্র ৩ সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত পাঁচ শতাধিক গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিবছর বন্যা শেষে অল্প পরিমাণে এই রোগ দেখা দিলেও এবার প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, এই রোগ প্রতিরোধে স্থানীয় প্রাণী সম্পদ বিভাগের কোনো উদ্যোগও নেই।

বিজ্ঞাপন

ওই সব গ্রামের গরু চাষীরা জানান, কৃষ্ণনগর, বাণীপুর, কোনাগাঁও, নলুয়া, ঢালাগাঁও, বেরীগাঁও, বাঘমারা প্রভৃতি গ্রামে দেশি-বিদেশি গরুর মধ্যে ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রাণী সম্পদ বিভাগ রোগ প্রতিরোধে যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি। একাধিকবার শহরের প্রাণী সম্পদ বিভাগে যোগাযোগও করা হয়েছে বলে জানান তারা।

কৃষ্ণনগর গ্রামের খামারি আব্দুল বারিকের সাতটি গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত। এসব গরুর পায়ে, মুখে ও জিহবায় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। আক্রান্ত গরুর মধ্যে কয়েকটি আছে বিদেশি গরুও আছে। দুধওয়ালা গরুর গুলোর দুধ কমে গেছে। কমছে ওজনও। তিনি জানান, প্রাণী সম্পদের কোনো লোক আসেন না। গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ঝুঁকিতে আছেন।

একই গ্রামের আব্দুল মতিনের আটটি, আবু হানিফার পাঁচটি, জামাল মিয়ার চারটি, আবু আহমদের তিনটি, আব্দুস ছালামের দুটি, ইমান হোসেনের চারটি, আব্দুল আওয়ালের পাঁচটি, তুতা মিয়ার দুটি, আব্দুর রশিদের ছয়টি, মুজিবুর রহমানের চারটি, আব্দুল করিমের তিনটি, মিজান মিয়ার চারটি, মকসুদ আলীর দুইটি গরুসহ আরও অনেকের আক্রান্ত গরু রয়েছে। একইভাবে অন্যান্য গ্রামেও রয়েছে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত গরু।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. রৌশন ইসলাম বলেন, এলাকায় অনেক গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আমি ক্ষুরা রোগ প্রতিরোধে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা. মো. আশাদুজ্জামান বলেন, সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই বিষয়ে এখন জেনেছি। দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সরেজমিনে লোক পাঠাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন