বিজ্ঞাপন

‘ভ্যাকসিন নিয়ে কানকথায় কান দেওয়া যাবে না’

February 10, 2021 | 5:48 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের পরও অনেকের সমালোচনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতোমধ্যে আমরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি। অনেকেই তো বলেছে- বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আসবে না। অনেক উন্নত দেশও কিন্তু আনতে পারেনি। এসব কানকথায় কান দেওয়া যাবে না। আমি কিন্তু কোনোদিকে তাকাইনি। আমার কাছে মানুষ এবং মানুষের জীবন সবচেয়ে বড়।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে যুক্ত হয়ে যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে বাংলাদেশ যেন ভ্যাকসিন দ্রুত পায় সে লক্ষ্যে সরকারের একান্ত প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি ভ্যাকসিনের জন্য এক হাজার কোটি টাকা আলাদা রেখে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডভান্স করে দিয়েছিলাম। এ জন্যই দিয়েছিলাম যে, যখনই ভ্যাকসিন তৈরি হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখনই অনুমোদন দেবে, সবার আগে যেন বাংলাদেশ পায়। এবং সেটাই আজ প্রমাণিত সত্য।’

ভ্যাকসিন উপহার দেওয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন আরও অনেকেই উপহার দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের যেটা প্রয়োজন আমরা সেটা নিয়ে এসেছি ‘ তিনি বলেন, ‘এখানে যুবলীগের একটা দায়িত্ব আছে। বিশেষ করে আমরা বলেছি যে ৪০ বছরের উপরে যারা, আর বিশেষ করে শিক্ষক থেকে শুরু করে যাদের সবসময় মানুষের পাশে কাজ করতে হয়, তাদের আগে দিতে হবে। মানুষের মাঝে এই ভয়টা দূর করতে হবে। সবাই যেন ভ্যকসিনটা নেয়। সেই ব্যবস্থা করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

ভ্যাকসিন পাওয়ার পরও সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও কিন্তু স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, হাত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে নজরে রাখতে হবে এবং এটা যুবলীগ করবে, সেটা আমি চাই ‘

যুবলীগের নতুন নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে সবসময় সকল আন্দোলনে তরুণরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। কাজেই তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ইনশাল্লাহ আমরা গড়ে তুলব।’

এ ব্যাপারে তরুণদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের তো বয়স হয়ে গেছে। আজকের তরুণরাই আগামী প্রজন্ম এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আজকের দিনে এটাই শপথ নিতে হবে, আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ব।’

বিজ্ঞাপন

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সংগঠনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও বয়সজনিত জটিলতার কারণে সবাই উপস্থিত ছিলেন না। তবে সাবেক চেয়ারম্যানদের মধ্যে আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিতর্কিত ইস্যুতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ওমর ফারুক চৌধুরীকে।

সাবেকদের মধ্যে মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।

প্রসঙ্গত, যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গত ১১ নভেম্বর। ১৯৭২ সালের ১১নভেম্বর দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ এ যুব সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটির বর্তমান চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এসএসএ/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন