বিজ্ঞাপন

জিয়ার খেতাব বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি: তথ্যমন্ত্রী

February 12, 2021 | 9:02 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব বাতিলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। হাইকোর্টের আদেশ পেলে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তথ্যমন্ত্রীর চট্টগ্রাম নগরীর বাসায় সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ সব কথা জানান।

জিয়াউর রহমানের খেতাব প্রত্যাহার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের ভূমিকা আসলে কি ছিল সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে তিনি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার খেতাব বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তো হয়নি এখনও। এটি নিয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে আলোচনা হয়েছে মাত্র।’

খেতাব বাতিল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিক্ষোভের ডাক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তো বিরোধী দল, তারা বিক্ষোভ করতেই পারে। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনসহ অন্যান্য যে সব ইস্যুতে তারা বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে তা হাস্যকর। পাশের দেশে যে ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় সেই নিরিখে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটা ভালো নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে কিন্তু কার্যত মাঠে ছিল না। ভোটের দিন তাদের কাউকে দেখা যায়নি।’

বিজ্ঞাপন

‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব কি চট্টগ্রাম এসেছিলেন? তিনি কি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন? একটা মিটিং করেছেন? অথচ তাদের তো প্রচারণা চালাতে কোনো অসুবিধা ছিল না। নির্বাচন কমিশনের নানা বাধ্যবাধকতার কারণে আমাদের দলের এমপি এবং মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ছিল। মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের দলের নেতারা যারা প্রতিদিন নয়া পল্টনে কথা বলেন, তাদের তো কোনো সমস্যা ছিল না। তারা কিন্তু আসে নাই। অর্থাৎ তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, কিন্তু মাঠে ছিল না, এটি তাদের ব্যর্থতা এবং দলীয় দুর্বলতা। এ কারণেই এই শহরে তারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৪ সালে আমাদের প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন থেকেই বিএনপির পরাজয় শুরু। মাঝখানে একবার আওয়ামী লীগ থেকে মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুকে হায়ার করে নিয়ে গিয়ে তারা জয় লাভ করেছিল। তারা কখনোই এই শহরে জয়লাভ করেনি, বরাবরই আওয়ামী লীগই জয়লাভ করেছে। কারণ এটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, সুতরাং এ নিয়ে বিক্ষোভ করে কোনো লাভ নেই।’

করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিএনপির বিরোধিতা এবং সাম্প্রতিক বাস্তবতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক অপপ্রচার চালিয়েছে, তারা প্রথমে বলেছে, সরকার ভ্যাকসিন সময়মতো আনতে পারবে না। যখন সময়মতো চলে আসল তখন বললেন এটি নিলে কোনো কাজ হবে না। এ ভ্যাকসিন দিয়ে বিএনপি নেতাদের মেরে ফেলতে চাচ্ছেন এ ধরনের কথাও বলেছেন তারা। দায়িত্বহীন অনেক কথা বলে শেষ পর্যন্ত বিএনপির অনেক নেতা করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং নেওয়ার পক্ষে কথাও বলেছেন, সে জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই।’

বিজ্ঞাপন

‘গাধা জল ঘোলা করে খায়, করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির ভূমিকাও সে রকমই’ বলেন তথ্যমন্ত্রী

আল জাজিরার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আল জাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাইকোর্ট যদি কোনো আদেশ দেন এটিকে বন্ধ করার জন্য, সে ক্ষেত্রে হাইকোর্টের আদেশ আমাদের মানতে হবে। আমরা চাইলে আল জাজিরার সম্প্রচার আমাদের দেশে বন্ধ করতে পারতাম, অনেক দেশে বন্ধ করা হয়েছে এবং বন্ধ রয়েছে। এমনকি ভারতেও কিছু দিনের জন্য বন্ধ ছিল। এখনও ৬-৭টি দেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ আছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেহেতু গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে তাই আমরা সেই উদ্যোগ নিইনি।’

ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে আল জাজিরা মিথ্যা-বানোয়াট এবং কাট-পেস্ট করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন