বিজ্ঞাপন

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মাহমুদউল্লাহদের বিদায় করে দিলেন তামিমরা

March 21, 2018 | 12:29 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফেরেননি দুজনের কেউই, সরাসরি চলে গিয়েছিলেন পাকিস্তানে। লাহোরে পিএসএলের এলিমিনিটর শেষে একজনকে অবশ্য দেশে ফিরে আসতেই হতো। শ্বাসরুদ্ধকর এক ফাইনালের পর মাহমুদউল্লাহকেই সেই পরিণতি মেনে নিতে হচ্ছে। তাঁর দল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসকে ১ রানে হারিয়ে পিএসএলে শিরোপা স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে তামিম ইকবালের পেশোয়ার জালমি।

তামিম বা মাহমুদউল্লাহর জন্য ব্যক্তিগতভাবে কালকের ম্যাচটা অবশ্য অনেক দিন মনে রাখার মতো কিছু হয়নি। টসে হেরে ব্যাট করতে নামার পর পেশোয়ারের হয়ে তামিমের শুরুটা হয়েছিল দারুণ, মোহাম্মদ নওয়াজের প্রথম ওভারেই পেয়েছিলেন দুই বাউন্ডারি। এরপর বৃষ্টি এসে খেলা বন্ধ করে দিল, খানিকটা যেন ছন্দপতনও হলো পেশোয়ারের। দ্রুত ফিরে গেলেন কামরান আকমল ও আন্দ্রে ফ্লেচার। মোহাম্মদ হাফিজ খেলছিলেন দারুণ, কিন্তু এর পরেই দৃশ্যপটে মাহমুদউল্লাহ।

অষ্টম ওভারে বল হাতে পেয়ে হাফিজকে তৃতীয় বলেই দারুণ এক ফুল লেংথ বলে বোকা বানালেন, সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হাফিজ। ১৪ বলে ২৫ রান করে ফিরলেন হাফিজ, মাহমুদউল্লাহ ওই ওভার থেকে দিলেন ৩ রান। তামিম অবশ্য একটু খোলসেই ছিলেন। একটা সময় যখন স্ট্রাইক রেট ১০০র নিচে কমে গেল, নওয়াজকে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গেলেন। কিন্তু সেটা লং অনে হয়ে গেল ক্যাচ, ২৯ বলে ২৭ রান করে ফিরলেন। পরে অবশ্য সেটাই পরিস্থিতির বিচারে হয়ে গেছে মহামূল্যবান।

বিজ্ঞাপন

মাহমুদউল্লাহ অবশ্য পরেও বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রথম পাঁচ বল ভালোই করেছিলেন। কিন্তু শেষ বলে নো বল আর ফ্রিহিট দিয়েই  ওই ওভার থেকে দিয়েছেন ১৭ রান। দুই ওভারে ২০ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর আর বল হাতে পাননি।

পেশোয়ারের লিয়াম ডসন তখন অবশ্য ঝড় তুলতে শুরু করেছেন। ৩৫ বলে ৬২ রান করে বড় কিছুরই আশা দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু অন্য পাশে উইকেট পড়তে শুরু করে নিয়মিত বিরতিতে। শেষ দিকে ওয়াহাব রিয়াজ ৭ বলে ১৫ রান করে দলকে এনে দিয়েছেন ১৫৭ রানের পুঁজি।

মাহমুদউল্লাহ অবশ্য ব্যাটিংয়ে যখন নামলেন, দল তখন বিপদে। শুরুতে হোঁচট খাওয়ার পর নওয়াজ ও সরফরাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কোয়েটা। কিন্তু সামিন গুলের পর পর দুই বলে ফিরে যান দুজন। ৮০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে কোয়েটা। মাহমুদউল্লাহ শুরুতেই চার মেরে কলম্বো থেকে যেন শুরুর আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু রুশোর সঙ্গে জুটিতে ৩৬ রান ওঠার পর ফিরে গেলেন ২০ বলে ১৯ রান করে। উমাইদ আসিফের ওই ওভারেই ফিরলেন রুশো, ম্যাচ তখন পেশোয়ারের।

বিজ্ঞাপন

শেষ ওভারে যখন ২৫ রান লাগে, পেশোয়ারের জয় তখন প্রায় মুঠোই। কিন্তু কোয়েটার আনোয়ার আলী প্রায় অসাধ্যই সাধন করে ফেলেছিলেন। লিয়াম ডসনের ওই ওভারের প্রথম ৫ বল থেকে নিলেন ২২ রান। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ৩, সুপার ওভারের জন্য ২। কিন্তু আনোয়ার ক্যাচ তুলে দিলেন লং অফে, সেটা আবার ফেলেও দিলেন ফিল্ডার। কিন্তু দুই রান নিতে পারলেন না দুই ব্যাটসম্যান, তার আগেই ডসনের থ্রো ভেঙে দিয়েছে স্টাম্প। ১ রানে জিতে গেল পেশোয়ার, আজ দ্বিতীয় এলিমিনিটরে তারা খেলবে করাচি কিংসের সাথে।

সারাবাংলা/ এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন