February 27, 2021 | 9:39 pm
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ হাজার ৬৭০ জন নিবন্ধন করেছেন। এ নিয়ে দেশে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে নিবন্ধিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ লাখ তিন হাজার ৮৩৫ জনে।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিবন্ধনের এই পরিসংখ্যান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দেশে ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭৭৩ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন প্রয়োগের ১৭তম দিনটিতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন এক লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৩ জন, যার মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৬ হাজার ৮৫৭ জন। ভ্যাকসিন প্রয়োগ পরবর্তী সময়ে ৭১১ জনের মাঝে হালকা জ্বর ও গায়ে ব্যথার লক্ষণ দেখা গেলেও এখন পর্যন্ত সবাই সুস্থ আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেকোনো ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মানুষের ভ্যাকসিন নেওয়ার স্থানে লাল হতে পারে, সামান্য জ্বর আসতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার স্থানসহ শরীরে ব্যথা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কারও মাঝেই এর চেয়ে গুরুতর কিছু দেখা যায়নি। তাই আমরা বলতে পারি, সবাই সুস্থ আছে।’
এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে জনসাধারণ পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনে দেশে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন ৩১ হাজার ১৬০ জন, দ্বিতীয় দিন নিয়েছিলেন ৪৬ হাজার ৫০৯ জন। তৃতীয় দিনেই সারাদেশে ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা লাখের ঘর পেরিয়ে যায়। পঞ্চম দিনে সেটি দুই লাখের ঘরও অতিক্রম করে। এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ দুই লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন একাদশ দিনে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণের ন্যূনতম দুই সপ্তাহ পর থেকে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তাই এই সময়ে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলছে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ কারণে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে ও পরেও মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সফলভাবে চলমান থাকায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্রে স্পট নিবন্ধন বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
সারাবাংলা/এসবি