March 21, 2018 | 1:07 pm
বিশাল মহীরুহের আড়ালে পড়ে থাকলে কোনো গাছ কি বড় হতে পারে?
দীনেশ কার্তিককে জিজ্ঞেস করুন, এখন নিশ্চয় মুচকি হাসবেন। মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য ভারতের জাতীয় দলে উইকেটের পেছনে জায়গাটা কখনো নিজের করে পাননি। সেই ধোনি যখন নেই, সুযোগ পেলেন কার্তিক। অবিশ্বাস্য এক ইনিংসে একাই ম্যাচ জেতালেন। এর পরেও ধোনির সঙ্গে তাঁর তুলনা হলে কেমন লাগবে?
কার্তিক অবশ্য ব্যাপারটা দেখছেন স্বাভাবিকভাবেই, ‘ধোনি যদি ক্লাসের প্রথম ছাত্র হয় সেখানে আমি খুবই সাধারণ একজন।’ পরে যা বললেন, তা থেকেই বোঝা যায়, মানুষ হিসেবেও কতটা পরিণত হয়েছেন কার্তিক, ‘আমার মনে হয় ধোনির সঙ্গে আমার তুলনা করাটা ঠিক নয়। আমি নতুন একটা যাত্রা শুরু করেছি। সেদিনের ওই ম্যাচটা আমাকে নতুন আশার গান শোনাচ্ছে। এটা নতুন একটা অভিজ্ঞতা। আর আমি এখনো শিখছি, ধোনির ওপর সব সময়েই আমি নির্ভর করে এসেছি। তাকে দেখে অনেক কিছু সেখার আছে, তিনি এখন তরুণদের শেখাচ্ছেনও।’
কিন্তু কখনো কি ভেবেছিলেন এভাবে নেমে জাদুমন্ত্রের মতো বদলে দেবেন সব? কার্তিকের উত্তর, ‘আমার মনে হয় আমার জীবনে যত ভালো কাজ করছি তার অনেক কিছুর পুরস্কার এটা। আমার মনে হয় এই প্রতিদান হিসেবেই আমি ছয়টা মারতে পেরেছি। এসব ভালো কাজের জন্যই ওই শটটা দুই মিলিমিটার বাড়তি গিয়ে ছয় হয়েছে। ভালো লাগছে এত বছর পর এসে আমি এ ধরনের মনযোগ পাচ্ছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তো এটা সব সময় পাওয়া যায় না! এখন থেকে এটা আমি নিয়মিতভাবেই করতে চাই। ’
কিন্তু নিজের এই নতুন ভূমিকাটা কতটা উপভোগ করছেন? কার্তিক মুখিয়ে আছেন চ্যালেঞ্জটা নিতে, ‘আমি সবসময়ই ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলা উপভোগ করেছি। টি-টোয়েন্টিতে আমাকে ছয় বা সাতে নামতে হয়। আমি বেশ কিছু ম্যাচ শেষ করে আসতে পেরেছি। এটা ধারাবাহিকভাবে করতে পারলে আরও ভালো লাগে। ওয়ানডেতে আমি হয়তো একটু ওপরের দিকে সুযোগ পাব। তবে আমি সব বিকল্পই খোলা রাখার চেষ্টা করছি। এমন একজন ক্রিকেটার হওয়ার চেষ্টা করছি যে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পারে।’
আইপিএলেও এবার কেকেআরের হয়ে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। কার্তিক এখন সেটার অপেক্ষাতেই আছেন, ‘এটা ঠিক সময়েই এসেছে। আমি এই চ্যালেঞ্জের জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমি আমাদের কোচ জ্যাক ক্যালিসের সাথেও কথা বলেছি। উনি অবশ্য বলেন কম, তবে যাই বলেছেন সেটাই আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বোলিংটাই আমাদের বড় শক্তি, তবে ব্যাটিংয়ে আমাদের অভিজ্ঞতার অভাব নেই।’
সারাবাংলা/ এএম