বিজ্ঞাপন

‘মোস্তাফিজের বল নেটে আর মাঠে খেলা পুরোপুরি আলাদা’

March 21, 2018 | 2:24 pm

সারাবাংলা ডেস্ক 

বিজ্ঞাপন

 

দীনেশ কার্তিক যদি না থাকতেন, ওই ম্যাচের দুঃস্বপ্ন অনেক দিনই তাড়া করে বেড়াত বিজয় শঙ্করকে।

১৮তম ওভারে যখন মোস্তাফিজুর রহমান বল আসতে পারেন, তখনও ভারতের ৩ ওভারে দরকার ৩৪ রান। বিজয় শঙ্কর প্রথম চার বলে কোনো রান নেওয়া দূরে থাক, ব্যাটে বলই লাগাতে পারলেন না। পঞ্চম বলে একটা লেগ বাই হলো। কিন্তু শেষ বলে মোস্তাফিজ পেরালেন মনীশ পান্ডেকে। হঠাৎ করেই জয়টা বাংলাদেশের খুব কাছে, পরে যেটা একাই ছিনিয়ে নিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। শেষ ওভারে চার মারলেও ম্যাচটা শেষ করে আসার সুযোগ ছিল তাঁর। কিন্তু ডট দিয়ে নিজেই চাপটা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

তবে বিজয় শঙ্কর শেষ দিকে যেভাবে খেলেছেন, তাতে ম্যাচের পরেও তাঁর হতাশা যায়নি, ‘আমি এখনো ওই পাঁচ বলের দুঃখ ভুলিনি। খুবই হতাশ, আমি তৃতীয় বলে চার মারার পরেও শেষ দুই বলে খেলাটা শেষ করে আসতে পারিনি। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে প্রথমবারেই এমন সুযোগ কমই পাবেন। আমি একটা ছয় মারতে পারলেই অনেক কিছু বদলে যেত। আমি এরকম পরিস্থিতির জন্য নিজেকে তৈরি করছিলাম, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি বলে হতাশ।’

আইপিএলে গত দুই বছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলার সুবাদে মোস্তাফিজের বল দেখেছেন খুব কাছ থেকে, নেটেও খেলেছেন। কিন্তু নেটে আর মাঠের খেলার যে বিস্তর ব্যবধান, সেটাই আরও একবার বুঝেছেন বিজয় শঙ্কর, ‘মোস্তাফিজকে নেটে আর মাঠে খেলার মধ্যে অনেক ব্যবধান। হয়তো অন্য কোনো দিন আমি এসব বল মিস করতাম না। আমি বলব না খুব চাপে পড়েছিলাম, তবে দিনটা আমার ছিল না।’

তবে এই ম্যাচ থেকেই শিক্ষা নিতে চাইছেন দিল্লির হয়ে নাম লেখানো এই অলরাউন্ডার, ‘প্রথম তিনটা বল মিস করার পর আমি ভেবেছি, এবার আমাকে একটা সিঙ্গেল নিতেই হবে। শেষ ওভারে গিয়ে আমি বাউন্ডারিও মেরেছি। তবে শেষ পর্যন্ত খেলায় থাকতে পারাটাও একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা। আমার মনে হয় সামনে এটা আমার অনেক কাজে দেবে। ’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন