বিজ্ঞাপন

মানবতাবিরোধী অপরাধে হবিগন্জের তিন আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

March 21, 2018 | 2:27 pm

স্টাফ  করেসপন্ডেন্ট,

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের লাখাই থানার মাওলানা শফি উদ্দিনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে। তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে শিগগিরই এ প্রতিবদেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর দাখিল করা হবে।

বুধবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির তদন্ত সংস্থায় এক বিফ্রিং এ তথ্য জানান সংস্থার জ্যেষ্ঠ সদস্য সানাউল হক।

মো. শফি উদ্দিন মাওলানা ছাড়াও বাকী আসামিরা হলেন মো. তাজুল ইসলাম (৮০) ও মো. জাহেদ মিয়া (৬২)।

বিজ্ঞাপন

এ তিন আসামীর মধ্যে মো. শফি উদ্দিন মাওলানা এখনও পলাতক আছেন। তবে বাকি দুই আসামী গ্রেফতার হয়ে করাগারে আছে।

তদন্ত সংস্থার সদস্য  সানাউল হক বলেন, মামলার এ তিন আসামীর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২২ মার্চ তদন্ত শুরু হয়ে বুধবার শেষ হয়।

আসামীদের বিরুদ্ধে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হলেন মো. নুর হোসেন। তদন্ত শেষে মামলাটিতে মোট ২১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ৩১ অক্টোবর রাত ২ ঘটিকার সময় আসামী মো. শফি উদ্দিন মাওলানা, মো. তাজুল ইসলাম ও মো. জাহিদ মিয়া তাদের সঙ্গীয় অন্যান্য রাজাকার ও একদল পাকিস্তারী আর্মি নিয়ে লাখাই থানাধীন মুড়িয়াউক গ্রামে এমএনএ মোস্তফা আলীর (আওয়ামী লীগ সমর্থক) বাড়ীসহ প্রতিবেশী ১০/১২টি বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে এবং গান পাউডার ছিটিয়ে অগ্নিসংযোগ করে ঘর পুড়িয়ে দেয়।

দুই নম্বর অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ৩১ অক্টোবর রাত ৩ ঘটিকার সময় আসামী মো. শফি উদ্দিন মাওলানা, মো. তাজুল ইসলাম ও মো. জাহিদ মিয়া তাদের সঙ্গীয় রাজাকার ও একদল পাকিস্তানী আর্মি লাখাই থানাধীন মুড়িয়াউক গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা মো. ইলিয়াস কামালের বাড়ীতে অভিযান চালায়। সেখানে তাকে না পেয়ে তার বৃদ্ধ পিতা মো. ইদ্রিস মিয়াকে অপহরণ করে হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে নিয়ে একই গ্রামের শান্তি কমিটির সদস্য ইসমাইল মাওলানার বাড়ীতে নিয়ে নির্যাতন করে।

তিন নম্বর অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ৩১ অক্টোবর রাতে মো. শফি উদ্দিন মাওলানা, মো. তাজুল ইসলাম ও মো. জাহিদ মিয়া অন্যান্য রাজাকারসহ একদল পাকিস্তানী আর্মি নিয়ে লাখাই থানাধীন মুড়িয়াউক গ্রামের আব্দুল জব্বারের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তার ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মো.শাহজাহানকে খোঁজাখুঁজি করে।  তাকে না পেয়ে তারা মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহানের বৃদ্ধ পিতা আব্দুল জব্বারকে অপহরণ করে একই গ্রামের শান্তি কমিটিরসদস্য ইসমাইল মাওলানার বাড়ীতে আটক ও নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

একই দিন বিকেলে উক্ত রাজাকার ও পাকিস্তানী আর্মিরা অপহৃত ইদ্রিস মিয়া ও আব্দুল জব্বারকে নৌকাযোগে লাখাই থানাধীন (আসামী মো. শফিউদ্দিন মাওলানার বাড়ীর নিকট) উজাদার বিলে নিয়ে উভয়কে গুলি করে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে দেয়।

 

সারাবাংলা/ এজেডকে/এমএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন