বিজ্ঞাপন

হরিণ দিয়ে ভুরিভোজ, অভয়ারণ্য কেন্দ্র প্রধান বরখাস্ত

March 10, 2021 | 9:28 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সাতক্ষীরা: হরিণ মেরে ভুরিভোজ করার ঘটনা জানাজানি হওয়ায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের নোটাবেঁকী টহল ফাঁড়ির (অভয়ারণ্য কেন্দ্র) প্রধান আব্দুল্লাহ আল বাহারাম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে টহলের দায়িত্বে থাকা অপর তিনজনকে বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই বিভাগীয় বন সংরক্ষকের (ডিএফও) দফতরে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, গত ১ মার্চ বহিরাগত কয়েকজন মেহমান পশ্চিম সুন্দরবনের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষিত নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য কেন্দ্রে বেড়াতে যান। ওই কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল বাহারামের পরিচিত ও নিকটাত্মীয়দের আতিথেয়তা করতে হরিণ শিকার করে খাওয়ানো হয়। বিষয়টি ওই কেন্দ্রের বোটম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনরত ফজলুল হক তার মোবাইলে গোপনে ধারণ করে বিভাগীয় বন সংরক্ষকের দফতরে পৌঁছে দেন।

তথ্যমতে, আব্দুল্লঅহ আল বাহারামের নেতৃত্বে রাসেল মিয়া, কালু মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, বাদশা মিয়া, চন্দন কৈরী এবং ফজলুল হক পশ্চিম সুন্দরবনের নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য এলাকার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। আব্দুর রাজ্জাকসহ দুইজন প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে বাইরে থাকার সুযোগে অন্যরা নিজেদের সুরক্ষার কাজে ব্যবহৃত বন্দুক দিয়ে হরিণটি শিকার করেন। তবে অন্যদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় বনকর্মীদের অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান বলেন, ইতিমধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় বন সংরক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ইনচার্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রের দায়িত্বরতদের অন্যান্য স্টেশনে বদলি করা হয়েছে।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল্লাহ আল বাহারাম বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং আমি অসুস্থ হয়ে ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফেরার পর আজগুবি এসব অভিযোগ তুলে আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বনকর্মীদের মধ্যে দলাদলির কারণে তাকে বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ফাঁসানো হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন