November 26, 2017 | 11:07 am
সারাবাংলা প্রতিবেদক
মাত্র ৩০ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে পিলখানায় যে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন হিসেবে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধেও এত সেনা নিহত হয়নি। ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে মাস কিলিং (নির্বিচারে গণহত্যা) বলেও উল্লেখ করেছেন আদালত।
রোববার আলোচিত পিলখানার বিডিআর হত্যা মামলার রায় প্রদানকালে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ এসব কথা বলেন।
বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
বেলা ১০টা ৫৫ মিনিটে আদালত এজলাসে ওঠেন। এরপর রায়ের পর্যবেক্ষণ দিয়ে রায় পড়া শুরু করেন।
এ সময় আদালত বলেন, এটি একটি ফৌজদারি অপরাধের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মামলা। এ মামলার আপিল শুনানিতে নিম্ন আদালতের সকল কাগজপত্র, নথিসহ সব বিষয় আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এটি একটি ঐতিহাসিক মামলা। ৩০ ঘণ্টায় এত সেনা কর্মকর্তা হত্যা করা হয়। যা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।
রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার জন্য একটি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
আদালত বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের শুধু বিচার করলেই হবে না। এর থেকে এটা প্রতীয়মান হতে হবে যে ন্যায়বিচার হয়েছে।
আদালত তার মতামতে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মনোবিজ্ঞানী, অপরাধ বিজ্ঞানী,সমাজ বিজ্ঞানীসহ বিভিন্ন বিশেজ্ঞদের মতামত অনুসরণ করা হয়েছে রায়ে। রায়ে ইসলাম ধর্ম, সনাতন ধর্মসহ প্রায় সব ধর্মের অনুশাসনের বিষয়টি সামনে রাখা হয়েছে।
রায় ঘোষণাকালে স্বাধীনতাযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার কথা বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়।
এমএজে/একে