বিজ্ঞাপন

ওয়ালশকেই কোচ রাখার পরামর্শ খালেদ মাহমুদের

March 22, 2018 | 5:08 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

বলতে গেলে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ এখন প্রায় অর্ধেক ফাঁকা। মূল কোচ নেই, সহকারী কোচ নেই, নেই ফিল্ডিং কোচও। পেস বোলিং কোচ হিসেবে আছেন কোর্টনি ওয়ালশ, স্পিন কোচ হিসেবে সুনীল যোশী। আর আপৎকালীন ব্যাটিং কোচ হিসেবে সাইমন হেলমট। কোচ আনার প্রক্রিয়াটা জোরেশোরেই চলছে। তবে নিদাহাস ট্রফিতে কোর্টনি ওয়ালশ যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাতে মূল কোচ হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়া যেতে পারে বলেই মনে করছেন খালেদ মাহমুদ।

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পরেই বাংলাদেশের মূল কোচের পদটা শুন্য। ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে দায়িত্বটা পালন করেছিলেন সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল। কিন্ত দলের ভেতরে-বাইরে তাঁর ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, শ্রীলঙ্কা সিরিজের পরেই তাঁকে একরকম বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দুই দিন আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে, হ্যালসল আর ফিরছেন না।

শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর হ্যালসল ছুটিতে যাওয়ায় মূল কোচ হিসেবে আপৎকালীন দায়িত্ব পান ওয়ালশ। অন্তত পারফরম্যান্সের হিসেবে সেই পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়েই তাঁর উৎরে যাওয়ার কথা। যেটা কেউ ভাবেনি, বাংলাদেশ প্রায় শিরোপাটা জিতেই ফেলেছিল। কার্তিক অমন অতিমানব হয়ে না দাঁড়ালে প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপাও পেয়েই যেত। তবে পেস বোলারদের নিয়ে ওয়ালশের খাটুনির সুফলটা মাঠে দেখিয়েছেন রুবেল, মোস্তাফিজ এমনকি সৌম্যরাও।

বিজ্ঞাপন

ওয়ালশ কেমন করেছেন, এই দুই সিরিজেই তা খুব কাছ থেকে দেখেছেন খালেদ মাহমুদ। দেশে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে, আর শ্রীলঙ্কায় ম্যানেজার হিসেবে ছিলেন দলের সঙ্গে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছেন, আমার তো মনে হয় করাই যায় (ওয়ালশকে কোচ)। আমার প্রেসক্রিপশন করা যায়। কোটনি দারুণ একজন মানুষ। সৎ একজন মানুষ। নিদাহাস ট্রফিতে দারুণ ভাবে সাপোর্ট করেছেন, মোটিভেট করেছেন প্লেয়ারদের। তার অভিজ্ঞতা তো ৪০ বছরের, দীঘদিন থেকে ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত। তার অভিজ্ঞতা নিয়ে তো কথাই নেই। সে ফাদারলি ফিগার। টিমের সবাই তাকে পছন্দ করে। সবমিলিয়ে শেষ সিরিজে হি ওয়াজ ফ্যানটাসটিক।’

তবে মূল কোচ হিসেবে যে-আসুক, সেটা সময় নিয়ে নির্বাচন করার পক্ষেই ওয়ালশ, ‘আমি এখনো কোন পরামর্শ দেই নাই। কারণ আমি আগে জানি যে কে আসলে খালি। আগে জানি যে কে ফ্রি আছে, কে আমাদের জন্য ভালো হবে। যেরকম মাথায় আছে। আমিও দেখি, খুঁজি। নামে চিনি বা এমনি চিনি। এবং মানুষ হিসেবে কেমন সেটাও দেখার আছে। আমাদের কোচও দরকার, ভালো মানুষও দরকার। আমাদের ছেলেরা ইমোশনাল টাইপের তো। এইগুলা সব চিন্তা করে কোচ দেওয়াটা দরকার আসলে। আমি মনে করি যে আশার জন্যই আসতে তেমন না, একজন প্রপার কোচ আমাদের দরকার।’

 

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ এএম/ এসএন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন