বিজ্ঞাপন

‘ক্রিকেটারদের বিরতি খুব দরকার হয়ে গেছে’

March 22, 2018 | 5:43 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

সেই সেপ্টেম্বরের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে শুরু। এরপর বিপিএল, ত্রিদেশীয় সিরিজ, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট-টি টোয়েন্টির পর আবার নিদাহাস ট্রফি। বলতে গেলে দম ফেলারই ফুরসত নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। সামনের এপ্রিল-মেতে তাই একটু বিশ্রামের উপলক্ষ পাওয়াটা খুব দরকার বলেই মনে করছেন জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ।

বলতে গেলে প্রায় টানা ছয় মাস খেলতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। এর মধ্যে সেভাবে বিরতি মেলেনি। তিন সংস্করণেই যারা খেলেন, তাদের ওপর তো ধকল গেছে সবচেয়ে বেশি। নিদাহাস ট্রফি থেকে ফিরেও অবশ্য বিশ্রাম নেই, সুপার লিগেও এর মধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন মুশফিক, সৌম্যরা। তামিম, মাহমুদউল্লাহরা খেলেছেন পিএসএলে, সাকিব-মোস্তাফিজরাই আপাতত আছেন বিশ্রামে। তবে প্রিমিয়ার লিগ শেষেই এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণীর আসর বিএসএল।

এরপর জুনে বিসিবি আফগানিস্তানে যাচ্ছে, তা নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। খালেদ মাহমুদ সেটা মনে করিয়ে বলছেন, একটা বিরতি ক্রিকেটারদের খুবই দরকার, ‘আমি মনে করি একটা ব্রেক খুব দরকার হয়ে গেছে আসলে সত্যি কথা বলতে । আপনি যদি দেখেন আফগানিস্তানের পর পরই আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাব, এসে এশিয়া কাপ, তারপর অস্ট্রেলিয়া (অস্ট্রেলিয়া সফর অবশ্য না হওয়ার কথা)। মানে কোন গ্যাপ নাই কিন্তু।

বিজ্ঞাপন

তারপরে বিপিএল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে আসবে। কিছু প্লেয়ার চোট পেয়ে যেতে পারে। সামনের দুই বছরে যা খেলবে, বাংলাদেশ কিন্তু এত ঘন ঘন ম্যাচ খেলে নাই। সুতরাং ইনজুরি আর অফ ফর্মে যাওয়ার চান্সও থাকবে। অনেকগুলো প্লেয়ারকে স্ট্যান্ডবাই রাখতে হবে। দুইটা টিম রেডি রাখতে হবে। কারণ ইনজুরি একটা ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রিমিয়ার লিগ শেষ হওয়ার পর বিসিএলও খেলবে ক্রিকেটাররা। আফগানিস্তানের আগে তাই ব্রেক দরকার।’

তবে মাহমুদ বলছেন, এই বিরতি ফিটনেসের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না, ‘প্রস্তুতি তো থাকবে। আমরা চাই তারা বিশ্রাম নিক। কিন্তু সেটা এক্টিভ রেস্ট। ন্যাশনাল টিমের প্লেয়ার তো ঐরকম নাই যে শুয়ে বসে কাটাবে। কোন দিন দৌড়াবে, কোন দিন জিমে আসবে।’

সারাবাংলা/ এএম/ এসএন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন