বিজ্ঞাপন

‘সাংবাদিক ফয়সালের চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি’

March 23, 2018 | 4:11 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় সাংবাদিক আহমেদ ফয়সালের চলে যাওয়া রাষ্ট্র ও সমাজের অপুরণীয় ক্ষতি। ফয়সালের মৃত্যুতে জাতি একজন চৌকস ও মেধাবী সাংবাদিককে হারিয়েছে। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

ঢাকাস্থ শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে। স্মরণ সভায় প্রতি বছর ‘সাংবাদিক ফয়সাল স্মৃতি পদক’ প্রদানেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।

আহমেদ ফয়সালের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের  স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, ফয়সাল সব সময় হাসি-খুশি থাকত। অল্প সময়ের মধ্যে মানুষকে আপন করে নিত। কাজের প্রতিও তার খুব আন্তরিকতা ছিল। তার মৃত্যুতে মা-বাবা হারিয়েছে তাদের সন্তানকে; আর দেশ ও জাতি হারিয়েছে তরুণ মেধাবী সাংবাদিককে।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, কোনো কোনো মৃত্যু পাখির পালকের মত, আবার কোনো কোনো মৃত্যু হিমালয়ের মত। সাংবাদিক আহমেদ ফয়সালের মৃত্যু হিমালয়ের মতই ভারি। তিনি বেঁচে থাকলে সাংবাদিক হিসেবে দেশের রাজনীতির অনেক দিকনিদের্শনা দিতে পারতেন। ফয়সাল যে চেতনা ও স্বপ্ন বুকে ধারণ করতেন, আমরা তা ধারণ করে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুললেই তার আত্মা শান্তি পাবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও বৈশাখী টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, আহমেদ ফয়সালের সঙ্গে ৬ বছরের সর্ম্পক। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী প্রাণবন্ত ছেলেটি পুরো বার্তাকক্ষ মাতিয়ে রাখত। সে প্রথমে প্রযোজনা বিভাগে চাকরি নিলেও তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বার্তা বিভাগে আনা হয়। কাজপাগল ফয়সাল নিজ যোগ্যতায় টেলিভিশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  ভিভিআইপি (রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী) বিটে কাজ করতেন। শেষ দিন পর্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী ফয়সালের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। সংগঠনের সভাপতি রাজু আলীম ‘সাংবাদিক ফয়সাল স্মৃতি পদক’ প্রদানের ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/আইএ/এমএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন