বিজ্ঞাপন

মেডিকেল ভর্তির ফল প্রকাশ, নির্বাচিত ৪৩৫০ জন

April 4, 2021 | 8:03 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি ডেন্টাল কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর ৩৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ পাশ করেছে যা সংখ্যায় ৪৮ হাজার ৯৭৫ জন। এর মাঝে ৪ হাজার ৩৫০ জনকে ভর্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৪ এপ্রিল) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবিবের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২০-২০২১ ইং শিক্ষাবর্ষে ১৯টি কেন্দ্রের নির্ধারিত স্থানে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। এর মাঝে এক লাখ ১৬ হাজার ৭৯২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। মোট পরীক্ষার্থীদের মাঝে অনুপস্থিত ছিল ছয় হাজার ১৮ জন। এর মাঝে চার হাজার ৩৫০জন পরীক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। নির্বাচিতদের মধ্যে মহিলা দুই হাজার ৩৪১ জন ও পুরুষ ২ হাজার ৯ জন যা আনুপাতিক হারে ৫৪: ৪৬।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে তিন হাজার ৯৩৭ জন কৃতকার্য হয়েছে। পূর্বের শিক্ষাবর্ষ থেকে নির্বাচিত হয়েছে ৪১৩ জন। এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে মিশোরী মুনমুন যিনি পাবনা মেডিকেল কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে নির্বাচিত হওয়া এই শিক্ষার্থীর মোট প্রাপ্ত নম্বর ২৮৭ দশমিক ২৫। অর্থাৎ পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮৭ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছে মুনমুন মিশোরী।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছর ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যার মাঝে ঢাকায় মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার। এবার সরকারি ৩৭টি মেডিকেলের চার হাজার ৩৫০টি আসন ও বেসরকারি ৭০টি মেডিকেল কলেজের ছয় হাজার ৩৪৭টি আসনের জন্য পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে পরীক্ষায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাধারণত প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এবার করোনা মহামারি কারণে তার প্রায় ছয় মাস পরে ২ এপ্রিল পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় করোনা পরিস্থিতিকে তুলনামূলকভাবে সহনীয় থাকাকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা প্রতিবছর সময় মতো না হলে ভবিষ্যতে একটি বছর এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসকের অভাব পরিলক্ষিত হবে। ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়বে বিবেচনায় এ সময়ে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন