বিজ্ঞাপন

এএফসির অসম্মতিতে চুক্তি থেকে বাদ জিলানী!

March 23, 2018 | 7:10 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: তিনবছর আগে সৈয়দ গোলাম জিলানীর হাত ধরেই সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর অনেক জল গড়িয়েছে মাঠে। সিনিয়র ফুটবলে তার নামে আসে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ। সেই অভিযোগে ছয় মাস ফুটবল পাড়া থেকে নিষিদ্ধও ছিলেন। গতবছরের নভেম্বরে সেই সময়ও শেষ হয়ে গেছে।

তবে, এএফসি এখনও নারাজ। তাকে কোচ হিসেবে দেখতে চায় না এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। তাই বাফুফের কোচের চুক্তি থেকে বাদ হতে চলেছেন জিলানী।

সূত্র মতে, এএফসি মনে করে জিলানী অপরাধ করেছেন। তবে, লিখি কোনও নির্দেশনা না থাকলেও মৌখিক আলোচনায় বাফুফে তাদের অসম্মতির বিষয়টি অবহিত করেছে। যার ফলে নতুন ও পুরনো কোচদের সঙ্গে আসন্ন চুক্তি নবায়নে থাকছে না জিলানীর নাম।

বিজ্ঞাপন

যার ফলে বাফুফের সম্ভাব্য চুক্তি তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন এই সাফ চ্যাম্পিয়ন কোচ। চাকুরি হারাচ্ছেন সাবেক সিনিয়র ফুটবল দলের সহকারী এই কোচ।

এদিকে কোচদের চাকরি নিয়েও বাফুফে গরম। চুক্তি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’। ২৩ কোচ থেকে তালিকা ছোট করতে চায় একপক্ষ। অপরদিকে সবাইকে চাকুরিতে বহাল রাখতে।

এ নিয়ে বিবাদ ও মতপার্থক্যের কারণে প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলেও নতুন করে চুক্তি হচ্ছে না কোচদের সাথে। তিন মাস ধরে তাদের বেতনও বন্ধ। ৩১ ডিসেম্বর তাদের সাথে বাফুফের চুক্তি শেষ। ১ জানুয়ারি থেকে চুক্তি নবায়ন করার কথা থাকলেও তা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

সূত্র মতে, বাফুফের টেকনিক্যাল ও স্ট্র্যাটিজিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির মতো ১২ জনকে রেখে বাকিদের ছাঁটাই করা হবে। কিন্তু ডেভেলপমেন্ট কমিটি সব কোচকে চাকরিতে বহাল রাখার পক্ষে। যদিও সব কোচেরই নাম পাঠানো হয়েছে এএফসিতে। এখন কাকে রাখবে আর কাকে বাদ দেবে সে এখতিয়ার বাফুফের।

সূত্রটি বলছে, পল স্মলি রাখতে চান না কোচ জিলানী, আবদুর রাজ্জাক, জাবিদ হোসেন অপু, নুরুল হক মানিক, আহসানউল্লাহ মন্টু, আহসানউল্ল্যাহ ঝন্টু, সুজন, আলম বাবু, মিনার ও শুক্কুর মোহাম্মদ টোটামকে। তবে ডেভেলপমেন্ট কমিটি তাদের রাখার পক্ষে। পলের প্রিয় কোচের তালিকায় আছেন ছোটন, রক্সি, লিটু, জাহান-ই আলম নূরী রাহেল, পারভেজ বাবু ও মাহাবুব হোসেন পলোরা।

এ দিকে কোনো কোনো কোচের বেতন বাড়লেও কারো কারো একটি টাকাও বেতন বাড়েনি। বেতন বেড়ে এক হাজার ডলার পর্যন্ত হয়েছে মহিলা দলের সফল কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ মাহাবুব হোসেন রক্সি ও গত মৌসুমে মুক্তিযোদ্ধার কোচ থেকে ফের বাফুফেতে যোগ দেয়া মাসুদ পারভেজ কায়সারের।

এ ছাড়া ৬৫০ ডলার বেতন হয়েছে পারভেজ বাবু, মহিলা দলের সহকারী কোচ মাহাবুবুর রহমান লিটু ও নতুন করে চাকরি হওয়া রাশেদ মাহমুদ পাপ্পুর। গত সিজনে মোহামেডানের কোচ ছিলেন পাপ্পু। তিনি ছাড়াও নতুন হিসেবে চাকরি হয়েছে আবুলের। কিছু কোচের বেতন আবার মাত্র ২০০ ডলার। এএফসিই কোচদের এই বেতন দেয়। এ দিকে এক উঠতি কোচ জানান, আমি ২৫ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এর মধ্যে চুক্তি না হলে আমি ক্লাব কোচিংয়ে চলে যাবো। বেশ ভালো টাকার অফার আছে।

বিজ্ঞাপন

কোচদের সাথে নতুন চুক্তির বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানান, ‘শিগগিরই আমরা চুক্তি করব তাদের সাথে। মাঝে একটু ব্যস্ততা গেছে।’

আর জিলানী প্রসঙ্গে তিনি এএফসির কঠোর মনোভাবের কথা উল্লেখ করলেন। তবে জিলানী ছাড়া শেষ পর্যন্ত বাকি সব কোচই চাকরিতে বহাল থাকবেন এমনটি ইঙ্গিত করলেন তিনি।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন