রমজানে মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রার্দুভাবে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোর জন্যও কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রমজান মাসে মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না। আরও বলা হয়েছে, বাসা থেকে ওজু করে সুন্নত নামাজ আদায় করে তারপর মসজিদে আসতে হবে। এছাড়া শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের মসজিদে অনুষ্ঠিত জামায়াতে অংশ না নিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (৬ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেনের সই করা প্রজ্ঞাপনে ১০ দফা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।

বিধিনিষেধের মধ্যে বলা হয়েছে— মসজিদে প্রবেশের মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান-পানিসহ হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিদের নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

নির্দেশনায় শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোন অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিতদের জামায়াতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সংক্রমণ রোধে মসজিদের ওজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণের নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, রমজান মাসে মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে খতিব ও ইমামদের দোয়াও করতে বলা হয়েছে।

মসজিদের খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি বলা হয়েছে, নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৮ দফা ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মসজিদগুলোতে জামায়াত নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে এ নির্দেশ পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর