বিজ্ঞাপন

চসিকের ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার চালু

April 6, 2021 | 7:45 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার চালু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এতে ১৩ জন চিকিৎসকসহ ৩৬ জন রোগীদের সেবায় দায়িত্ব পালন করবেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন। নগরীর লালদিঘীর পাড়ে সিটি করপোরেশনের পাবলিক লাইব্রেরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এ আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে।

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ৫০ শয্যার মধ্যে ৩৫টি পুরুষ ও ১৫টি নারী রোগীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চসিকের আরবান হেলথ প্রকল্প পিএ-১-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. মো. মুজিবুল আলম চৌধুরীকে কো-অর্ডিনেটর ও কাট্টলী ইপিডআই জোনের মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন তালুকদারকে সহকারী কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, ১১ জন চিকিৎসককে আইসোলেশন সেন্টারের মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ৮ জন ফার্মাসিস্ট, ৪ জন প্যারামেডিক, ৩ জন ওয়ার্ড মাস্টার, ৬ জন ওয়ার্ড বয়, একজন স্টোর কিপার ও একজন অফিস সহায়ককে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

‘একেবারের শহরের প্রাণকেন্দ্রে নতুন গড়ে তোলা ভবনে আইসোলেশন সেন্টারটি আমরা করেছি। খুব সুন্দর পরিবেশ। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনের পর এখনো কোনো রোগী ভর্তি হননি। আশা করি আক্রান্তরা এখানে সুচিকিৎসা পাবেন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরবেন। সেভাবেই আমরা আইসোলেশন সেন্টারটি গড়ে তুলেছি,’— বলেন সেলিম আক্তার।

এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ হচ্ছে। তবে দিশেহারা হওয়া যাবে না। মনোবল হারালে চলবে না। করোনার প্রথম থাবায় বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খেয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতায় আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিলাম। এমনকি অনেক দেশের আগে আমরাই করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছি। ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ ‍শুরু হচ্ছে। করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় যুদ্ধেও আমরা জয়ী হব।’

বিজ্ঞাপন

মেয়র বলেন, ‘আপাতত আমরা ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার চালু করেছি। এখানে আরও চিকিৎসক ও জনবল দেওয়া হবে। এছাড়া আরও কয়েকটি আইসোলেশন সেন্টার ও ফিল্ড হাসপাতাল চালু করার বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হবে।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবু হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর গত বছরের ১৩ জুন থেকে নগরীর আগ্রাবাদ অ্যাকসেস রোডে ২৫০ শয্যার একটি আইসোলেশন সেন্টার চালু করেছিল চসিক। ওই সময়কার মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের উদ্যোগে সেন্টারটি চালু হয়ে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত চালু ছিল। দুই মাসে সেখানে ১২৯ জন রোগী সেবা নেন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন ৩০ জন।

তবে আইসোলেশন সেন্টার পরিচালনায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিলেন চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গত বছরের ৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল কমিটি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন